একদিকে তৈরি হচ্ছে তৃতীয় ঢেউয়ের (Third Wave) আশঙ্কা, অন্যদিকে আবার সাম্রাজ্য বিস্তার করছে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট (Delta Plus Variant)। আর এ সবের মধ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে দেশের দৈনিক করোনা পরিসংখ্যান (Daily Covid Cases)। চলতি বছর মার্চ থেকে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছিল সংক্রমণ। কিন্তু লকডাউন ও কড়া বিধিনিষেধের জেরে ধীরে ধীরে মিলছিল সুফল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ফের বেড়ে গেল ৫০ হাজারের উপর। সব কিছুর মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেল্টা প্লাস ভ্য়ারিয়েন্ট (Delta Plus Variant)। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫০ হাজার ৪০ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। একই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটকে আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসছে সংক্রমণ। কিন্তু একই সঙ্গে মহারাষ্ট্রে ক্রমেই বাড়ছে ডেল্টা প্লাস আক্রান্তের সংখ্যা।
দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ১৮৩। আর মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৭৫১ জনের। দেশে মোট কোভিড সংক্রমণের হার কমে হয়েছে ৭.৪৮ শতাংশ।
করোনার নতুন ডেল্টা প্লাস প্রজাতিকে নিয়ে অবশ্য রাতের ঘুম উড়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ডেল্টা প্লাসের হাত ধরেই দেশে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে? যদিও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের যে ভয়াবহতা দেখেছেন দেশবাসী, তাতে তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব কতটা মারাত্মক হবে, সে নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন সকলেই। কিন্তু সাধারণ মানুষের উদ্দেশে অনেকটাই স্বস্তির বার্তা শুনিয়েছেন এমসের ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়া (AIIMS Director Dr Randeep Guleria)।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যেকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বিশেষ করে এই রাজ্যের যে জেলাগুলিতে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট মিলেছে, সেই জেলাগুলিতে করোনা টেস্ট এবং টিকাকরণের পরিমাণ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ কর্ণাটকের স্বাস্থ্য সচিব রবি কুমারকে চিঠি লিখেছেন। ২৫ জুন লেখা এই চিঠিতে বলা হয়েছে, কর্ণাটকের মাইসুরু জেলায় মিলেছে ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ। তাই অবিলম্বে এই এলাকাগুলিকে কনটেইনমেন্ট করা প্রয়োজন। পাশাপাশি যাতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ হয় সেদিকেও অতিরিক্ত নজর দেওয়া হোক।