সংক্রমণের গতি বাড়িয়েছে করোনা৷ তারমধ্যেই সুখবর মিলল৷ পাঁচ লক্ষ ভ্যাকসিন আসার পরও আরও পাঁচ লক্ষ ভ্যাকসিন রাজ্যে আসছে৷ শুক্রবার গো-এয়ারের বিশেষ বিমানে কোভিশিল্ড শহরে আসছে বলে জানা গিয়েছে৷ আপাতত বাগবাজারে ভ্যাকসিন স্টোরে মজুত করে রাখা হচ্ছে এই ভ্যাকসিন। সেখান থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হবে।
রাজ্যে চলছে ভোট উৎসব। করোনা আবহে রাজনৈতিক দলগুলির হাজার হাজার ভিড়। আর এরই মধ্যে গোটা দেশের মতোই রাজ্যেও ভয়ঙ্কর করোনা। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভ্যাকসিনের আকাল। বহু ভ্যাকসিনেশন সেন্টারেই মজুত নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন। এরমধ্যেই দৈনিক করোনা সংক্রমণ ক্রমশ নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। মঙ্গলবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৮০০। বুধবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে কলকাতায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে খানিকটা স্বস্তি দিয়ে রাজ্যে এসেছে পাঁচ লক্ষ কোভ্যাক্সিন। সেগুলোও বাগবাজারে ভ্যাকসিন স্টোরে মজুত রয়েছে৷
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পরিস্থিতির জন্য বহিরাগতদের ভিড়কেই দায়ী করছেন। পাশাপাশি আঙুল তুলছেন ভ্যাকসিনের অপর্যাপ্ততার দিকে। মমতার কথায়, “সব ভালো করে দিয়েছিলাম। সবাইকে সময় মতো ভ্যাকসিন দিলে আর বাড়ত না। বিজেপি বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে করোনা ছড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে।” মমতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন৷ তিনি বলেছেন, দেশে ভ্যাকসিন পর্যাপ্তই রয়েছে। সরকার রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিন দিচ্ছে। এই ভ্যাকসিনকে মনিটর করা, সরবরাহ করা রাজ্যের দায়িত্ব।