কলকাতায় করোনা আক্রান্ত হলেন আরও একজন। এবার আক্রান্ত বালিগঞ্জের এক বাসিন্দা।
গত ১৩ মার্চ লন্ডন থেকে কলকাতায় ফেরেন তিনি। এরপর থেকে ছিলেন হোম কোয়ারেন্টাইনে। এরপর তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোয়াব টেস্টে তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। নাইসেডের তরফ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে।
১৩ তারিখ লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতা আসেন এই তরুণ। দিল্লিতে ঘণ্টা দেড়েক ছিলেন। এরপর আসেন কলকাতায়। ১৬ তারিখ থেকে শুরু হয় সর্দি কাশি। ১৭ তারিখে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জানা যায়, তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ। তাঁর বাবা মা, ভাই, দাদু, ঠাকুমাকেও কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। বালিগঞ্জে তাঁর আবাসনেও নজরদারি চালাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।
ওই তরুণের উপসর্গ হিসেবে কাশি ও হালকা জ্বর রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে তাঁকে ভর্তি করা হয় বেলেঘাটা আইডি-তে। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে পাঠানো হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ডে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর ২ বন্ধু, তাঁদের নমুনাও পজিটিভ এসেছে। তবে এই দুই বন্ধুর একজন পঞ্জাবের ও অন্যজন ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা। এঁদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে শুনেই বালিগঞ্জের বাসিন্দা ওই ২২ বছরের তরুণ বাবার সঙ্গে বেলেঘাটা আইডি-তে আসেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার কলকাতায় আরও এক করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়। তিনিও লন্ডন থেকে ফিরেছিলেন। বর্তমানে তিনি বেলেঘাটা আইডি-রে ভর্তি। তাঁর মা রাজ্য সরকারের এক উচ্চপদস্থ আমলা বলে জানা গিয়েছে। তাঁর বাবা-মা’কেও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
এদিকে, রাস্তাঘাটে অফিস ফেরত যাত্রীদের ভিড় কমাতে সরকারি কর্মীদের আগেভাগে ছুটি দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ”অফিস হালকা করতে চাই। বিকেল ৪ পর্যন্ত রোস্টার করে দেওয়া হবে। ১০ থেকে সাড়ে ৫ টা নয়, ৪টের মধ্যে ছুটি করে দেব। যাতে একই সময়ে বাসে, রেলস্টেশনে ভিড় বেশি না হয়। বাড়ি কিন্তু অনেক নিরাপদ। আপনারা সকলে ভালো থাকলে রাজ্যটা ভালো থাকবে। এই দু’সপ্তাহ সতর্ক থাকতে হবে।”