কবরে স্থান অকুলান, করোনায় মৃতদের দাহ করার ‘নিদান’ আমদাবাদের বিশপের

শুধু হাসপাতাল নয়, দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য জায়গা কমছে অন্ত্যেষ্টিস্থলেও। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃতদের সৎকারের জন্য ধর্মীয় আচারের গণ্ডি পেরনোর জন্য খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর কাছেআবেদন জানিয়েছিল গুজরাতের আমদাবাদ প্রশাসন। শহরের ক্যাথলিক বিশপ তা সমর্থন করেছেন। কবর দেওয়ার পরিবর্তে করোনায় মৃতদের দেহ দাহ করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি নিজেই।
আমদাবাদের ক্যাথলিক বিশপ অ্যাথানাসিয়াস রেথনা স্বামী চলতি সপ্তাহে নগর প্রশাসনকে জানিয়েছেন, করোনায় মৃতদের দেহ দাহ করা হলে তাঁর আপত্তি নেই। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নতুন ব্যবস্থা মেনে নেওয়ার জন্য শহরের ক্যাথলিক সমাজের কাছে বার্তাও দিয়েছেন তিনি। লিখিত আবেদন পাঠিয়েছেন, শহরের বিভিন্ন ক্যাথলিক চার্চের পরিচালক মণ্ডলীর কাছেও। গত ১২ এপ্রিল পাঠানো চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পূর্ণ সম্মানের সঙ্গে মৃতদের সৎকার আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ’!
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের অভিঘাতে দেশের অনেক শহরের মতোই আমদাবাদেও দৈনিক মৃত্যু দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ফলে শ্মশান, কবরস্থানে দীর্ঘ লাইন পড়ছে। তাই সুষ্ঠভাবে সৎকার সম্পন্ন করা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি, অভিযোগ উঠেছে শহরের মর্গগুলিতে মৃতদেহ সংরক্ষণ নিয়েও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
আমদাবাদ শহরের পার্সি সমাজও করোনা পরিস্থিতিতে দাহ করার বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, পার্সিদের ধর্মীয় পরম্পরা অনুযায়ী, মৃতদের দেহ শকুন ও চিলের খাদ্য হিসেবে শহরের পাশে কোনও উঁচু জায়গায় পাঁচিল ঘেরা মিনারের উপর রেখে আসা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.