দেশীয়ভাবে তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অনুমোদন দিয়েছে এআইআইএমএস এথিক্স কমিটি। অনুমোদনের পরেই কোভ্যাক্সিনের (Covaxin)-এর ট্রায়ালের জন্য নাম নেওয়া শুরু হবে সোমবার থেকেই।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের তরফে কোভ্যাক্সিনের ফেজ-১ এবং ফেজ-২ এর হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য যে ১২টি জায়গা সিলেক্ট করা হয়েছে দিল্লির এইআইআইএমএস তাঁদের মধ্যে অন্যতম। প্রথমধাপে, ৩৭৫ জনের উপর এই ট্রায়াল করা হবে এবং তাঁদের মধ্যে ১০০ জনকে হাসপাতাল থেকেই নেওয়া হবে।
এআইআইএমএসের সেন্টার ফর কমিউনিটি মেডিসিনের প্রফেসর জানিয়েছেন, “এআইআইএমএস এথিক্স কমিটি কোভ্যাক্সিনের হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অনুমোদন দিয়েছে। যারা একদম সুস্থ আছেন এবং কোভিড হিস্ট্রি নেই এই বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে ব্যাক্তিরা ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করতে পারবেন”।
আরও জানানো হয়েছে, “অনেকেই এই ট্রায়ালের জন্য রেজিস্টার করেছেন। আমরা সকলের স্ক্রিনিং শুরু করেছি এবং তাঁদের স্বাস্থ্যের অবস্থার পরীক্ষানিরীক্ষা সোমবার থেকে শুরু করা হবে”।
যারা এই ট্রায়ালে অংশ নিতে চান তাঁদের ই-মেল পাঠাতে বলা হয়েছে। ঠিকানা- [email protected] অথবা এসএমএস অথবা ফোন করতে বলা হয়েছে 7428847499 এই নম্বরে। এই তথ্য প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে।
হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’ করোনার প্রতিষেধক বলে দাবি করা হচ্ছে। কেন্দ্রের ছাড়পত্র মেলার পরেই ‘কোভ্যাক্সিন’-এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়াল পর্যায় পার করেছে এই ভ্যাকসিন।
অর্থাৎ বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। সফলভাবেই সেই পথ পেরিয়ে এসেছে ‘কোভ্যাক্সিন’। এবার মানবশরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে ‘কোভ্যাক্সিন’।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের এই প্রক্রিয়া বয়স, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্বিশেষ প্রত্যেককে প্রয়োগ করতে হয়। মোট তিনটি ধাপে এই প্রক্রিয়া চলে। ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বোঝার এই ধাপটি সবচেয়ে দীর্ঘতর। নিয়মিত নজরে রাখতে হবে স্বেচ্ছাসেবীদের।
গোটা দেশ করোনার গ্রাসে। কবে আসবে ভ্যাকসিন। চাতক পাখির মতো সেদিকেই তাকিয়ে দেশবাসী। ভারতে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়ার দিকে নজর রয়েছে বহির্বিশ্বেরও।