করোনার সেকেন্ড ওয়েভ তছনছ করে দিচ্ছে মহারাষ্ট্রকে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণের পরিসংখ্যানে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত প্রায় ৬৭ হাজার মানুষ। মৃত্যু ৭৭৩ জনের। সংক্রমণ মোকাবিলায় দিশেহারা দশা মহারাষ্ট্র সরকারের। রাজ্যজুড়ে সরকারি-বেসরকারি হাসাপাতলগুলিতে করোনা রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। আইসিউ ICU বেড নিঃশেষের পথে। অক্সিজেনের জন্য হাহাকার দশা সর্বত্র।
বেলাগাম সংক্রমণ। গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ার উপক্রমণ। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী মহারাষ্ট্রে শুক্রবার নতুন করে ৬৬ হাজার ৮৩৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭৭৩ জনের। রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা।
মহারাষ্ট্রে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ করোনা কেস ৬ লক্ষ ৯১ হাজার ৮৫১। গোটা দেশে মহারাষ্ট্রই সবচেয়ে বেশি করোনা অ্যাক্টিভ রোগী। গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভয়ঙ্কর সমস্যার মুখে দাঁড়িয়ে। অতিমারীর মোকাবিলায় ওষুধ, অক্সিজেন ও অন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সরঞ্জামের আকাল রাজ্যে। করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে পর্যাপ্ত টিকাও মিলছে না বলে উঠছে অভিযোগ।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের। রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন জানিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে।
গোটা দেশেই করোনার লাগামছাড়া সংক্রমণ। শুক্রবার দেশে ফের ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৩০ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশে করোনার সংক্রমণ অতি ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা আইআইটি-র বিজ্ঞানীদের। তবে মে মাসের শেষের দিক থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
বর্তমানে আমেরিকার থেকে ভারতে অনেক বেশি দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে৷ আইআইটি কানপুর এবং হায়দরাবাদের বিজ্ঞানীরা সূত্র মডেল গবেষণা করে দেখেছেন, মে মাসের মাঝামাঝি দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১০ লক্ষ বেড়ে যাবে। তাঁদের দাবি, দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং তেলেঙ্গানায় এপ্রিলের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী হবে সংক্রমণ।