করোনার সেকেন্ড ওয়েভ তাণ্ডব চালাচ্ছে গোটা দেশে। দেশজুড়ে সংক্রমণের বিদ্যুৎ গতি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এবার কম বয়সীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। সেকেন্ড ওয়েভে ৪৫ বছরের নীচে ৬০ শতাংশ মানুষ ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ছাড় পাচ্ছে না বাচ্চারাও। দেশের ৩ শতাংশ করোনা আক্রান্তের বয়স ১০-এর নীচে। সেই কারণেই এবার বাচ্চাদেরও কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে দেশের মোট করোনা আক্রান্তদের ৮.৫ শতাংশ রোগীর বয়স ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। গত ২ মাসে ২০ বছরের নীচে থাকা ৯ শতাংশ রোগী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রে।
দেশে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর পর থেকে একটি ধারণা তৈরি হয়। বেশি বয়সী ও কোমর্বিটদেরই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি, এমনই ধারণাই জোরদার হতে থাকে বিভিন্ন মহল থেকে। যদিও এমনিতেই প্রবীণ ও কোমর্বিট রোগীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি, একথা সত্যি। তবে করোনার সেকেন্ড ওয়েভের ধাক্কায় আগের সব ভাবনাই বদলে দিয়েছে।
এবার কম বয়সীরাও কাবু হচ্ছেন মারণ ব্যধিতে। এখনও পর্যন্ত দেশের ১১ শতাংশ করোনা রোগীর বয়স ২০-এর নীচে। ৩ শতাংশ রোগীর বয় ১০-এর নীচে। সুতরাং করোনার হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছে ৮.৫ শতাংশ রোগী।
নয়ডার একটি হাসপাতালের বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রখর গর্গ জানিয়েছেন, করোনার সেকেন্ড ওয়েভে বিশাল সংখ্যক অল্প বয়সী তরুণ-তরুণীও আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি নিজে কম বয়সী বহু কোভিড আক্রান্তদর চিকিৎসা করছেন। ১৮ বছরের নীচে করোনা রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়ছে বলে তিনি জনিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।
বাচ্চারা সম্ভবত প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় অন্যদের ব্যাপক হারে সংক্রমিত করতে পারে। সেই কারণেই তাদের সুপার স্প্রেডারের ক্যাটাগরিতে রাখা হয়। এই পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের শীঘ্রই টিকাকরণের আওতায় আনা উচিত। যাতে তারা নিজেরা সুরক্ষিত থাকতে পারে ও অন্যদেরও সুরক্ষিত রাখতে পারে।