করোনা ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) তৈরির লড়াইয়ে দ্রুত এগোচ্ছে ভারত। দিন দুই আগেই সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্তা আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, ট্রায়াল চলাকালীনই তারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার ভ্যাকসিন ‘নোভাভ্যাক্সে’র ৪ কোটি ডোজ বানিয়ে ফেলেছেন। এবার তিনি জানিয়ে দিলেন, ৪ কোটি নয়, ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই করোনা ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ তৈরি হয়ে যাবে। এই ভ্যাকসিন একবার উপযোগী এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন বলে প্রমাণ হয়ে গেলেই ভারত সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে তা বিতরণের অনুমতি চাইবে সেরাম। এবং আগামী বছরের গোড়ার দিকেই তা বিতরণ করা যাবে বলে আশাবাদী সেরাম কর্তা। অক্সফোর্ড (Oxford) ভ্যাকসিনের মোট ১০০ কোটি ডোজ তারা তৈরি করতে চায়।
অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করে ভারতে অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (Serum Institute of India)। শুরু থেকেই এই প্রতিষেধকটি নিয়ে আশাবাদী ছিলেন সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla)। এবং ঝুঁকি নিয়ে ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ্যে আসার আগেই বহু অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন এই টিকার পিছনে। পুনাওয়ালার আশা, তার সেই ঝুঁকি নেওয়াটা এবার বহু ভারতবাসীর কাজে লাগবে। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলছেন,”শুরুতে এত বড় ঝুঁকি নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সব ঠিকই আছে।” তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সেরামের তৈরি টিকার পুরোটাই কি ভারত পাবে? নাকি দেওয়া হবে অন্য দেশগুলিকেও। পুনাওয়ালার ইঙ্গিত, শুরুর দিকে আগে ভারতকেই এই টিকা দেওয়া হবে। তবে, শেষপর্যন্ত ভারত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তৈরি কোভ্যাক্স প্ল্যাটফর্মকে অর্ধেক অর্ধেক করে টিকা দেবেন তাঁরা।
এদিকে, অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন নিয়ে সুখবরের দিন আরও একটা সুখবর এসেছে। রাশিয়ার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিক ফাইভের ডোজ ইতিমধ্যেই ভারতে চলে এসেছে। এবং ডঃ রেড্ডিস ল্যাব শীঘ্রই এর ট্রায়াল শুরু করবে। উল্লেখ্য, রাশিয়া দাবি করেছে এই ভ্যাকসিনটি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৯২ শতাংশ কার্যকরী।