শ্রদ্ধা আফতাবের প্রেমের পরিণতি, দিল্লির ঘটনা এতদিনে সবাই জেনে গেছেন। যারা জানেন না, আমার প্রোফাইলে একবার দেখে নিতে পারেন। প্রেম, ভোগ শেষ, বিয়ের কথা উঠতেই শ্রদ্ধার শরীরের ৩৫ টুকরো নতুন কেনা ফ্রিজের ভিতর। ফের সেই একই ঘটনা। এবার উত্তরপ্রদেশের লখনৌতে।
উনিশ বছরের নিধি গুপ্তার প্রেম মহম্মদ সুফিয়ানের সঙ্গে। বিয়ের কথা উঠলেই, ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য চাপ নিধিকে। সেই থেকেই ঝামেলা শুরু। যার পরিণতি ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হল নিধী-কে। দুবাজ্ঞা পুলিশ থানার তদন্তকারী অফিসারের কাছে নিধীর পরিবারের অফিসিয়াল বক্তব্য এটাই।
নিধী বিউটিশিয়ানের কোর্স করছিল আর প্রেম করছিল মহম্মদ সুফিয়ানের সঙ্গে। সুফিয়ান নিধীকে চাপ দিচ্ছিল হিন্দু ধর্ম ছেড়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে তাকে সাদি করতে হবে। যেটা মেনে নেয়নি নিধী ও তার পরিবার। এই চাপ যাতে না দেওয়া হয়, সেইজন্য সুফিয়ানের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যায় নিধীর পরিবার।
প্রেমের বিয়ে যেখানে, সেখানে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ কেন? এই নিয়ে দুই পরিবারের মতান্তর চরমে ওঠে। নিজের ধর্ম পরিবর্তন করতে রাজি ছিল না নিধী, রেগে কথা শেষ করে বাড়ির ছাদে চলে যায় নিধী। তারপরেই সুফিয়ান পিছন পিছন গিয়ে, রাগের মাথায় তাকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে, এমনটাই অভিযোগ নিধীর পরিবারের।
নিধীকে নিয়ে যাওয়া হয়, কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে। সেখানে নিধীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। সুফিয়ানের বিরুদ্ধে থানায় FIR করে নিধীর পরিবার।
জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করে সাদির জন্য চাপ দেওয়া ও তাতে রাজি না হওয়ায় ছাদ থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে, নিধীর পরিবারের তরফ থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, নিজেদের একটি ঘনিষ্ঠতার ভিডিও দেখিয়ে নিধী-কে ধর্ম পরিবর্তন করে তাকে নিকাহ করার জন্য চাপ দিত সুফিয়ান।
Chiranjeev Nath Sinha, Additional DCP, West Zone জানিয়েছেন, হত্যা ও ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া, দুই অপরাধের জন্যই মহম্মদ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে।
শ্রদ্ধা আফতাব, নিধী সুফিয়ান, পরপর দুটি ঘটনা প্রমাণ করে দিল, প্রেমের নামে এখন যেটা চলছে তার সঙ্গে প্রেম ভালোবাসার কোন সম্পর্ক নেই। আছে ভোগ আর ধর্ম পরিবর্তনের উগ্র বাসনা….