ভক্তিরস রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বরাবরই ভক্তিবাদী। তিনি ঈশ্বরকে দেবালয়ে । মন্দিরে মসজিদে খুঁজে পাবার চেষ্টা করেননি, করেছেন অন্তর নিভৃতে। যেহেতু কৃত্তিবাসী রামায়ণ ভক্তিরস প্রধান সেহেতু কৃত্তিবাসের রামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে তিনি বলেছেন : ‘কৃত্তিবাসের রাম ভক্তবৎসল রাম। তিনি অধম পাপী সকলকেই উদ্ধার করেন। তিনি গুহক চণ্ডালকে মিত্র বলে আলিঙ্গনRead More →

তিন তালাকের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা ইশরাত জাহান (বর্তমানে তিনি বিজেপি নেত্রী) প্রাণ নাশের সঙ্কটে ভুগছেন। উনি একদিন আগে রাস্তায় নামাজ পড়ার বিরোধিতা করে বিজেপি নেতিত্বের সাথে হিজাব পড়ে রাস্তায় বসে হনুমান চালিশা পাঠ করেছিলেন। আর সেই কারণে ওনাকে এখন প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি হাওড়ার গোলবাড়িRead More →

পাহাড় দেবতা। তাকে তুষ্ট করলে হবে ভালো বৃষ্টি। ফসলে ভরে উঠবে মাঠ। শস্য শ্যামল হবে ধরণী। তারই হাত ধরে সুখ আসবে, সমৃদ্ধ হবে বসতি। এমনই বিশ্বাস বংশপরম্পরায় বইছে ফল্গুধারার মতো। আর সেই বিশ্বাসেই আদিবাসী মূলবাসীদের মধ্যে পাহাড় পুজোর রেওয়াজ বছরের পর বছর ধরে। গোটা আষাঢ় মাস ধরে পালা করে পুজোRead More →

আষাঢ় মাসে বাংলার অন্যতম উৎসব বিপত্তারিণী পুজো। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই উৎসব। বিপত্তারিণী পুজোর পরে অনেকেই হাতে লাল ডোরে দুব্বোঘাস বেঁধে তাগা ধারণ করেন। এই সংখ্যাটা একেবারেই কম নয়। আর এ থেকেই বোঝা যায়, বাংলার সংস্কৃতির অন্তঃস্থলে ঠিক কতটা জায়গা অধিকার করে রয়েছেন এই দেবী। মনে করা হয় বিপত্তারিণী একান্ত ভাবেইRead More →

যারা বলেন রাম বাঙালির দেবতা নন, তাদের জন্য রবীন্দ্রনাথের মন্তব্য বিশেষ প্রণিধানযোগ্য, “বাঙ্গলা দেশে যে এক সময়ে সমস্ত জনসাধারণকে একটা ভক্তির প্লাবনে প্লাবিত করিয়া তুলিতেছিল; সেই ভক্তিধারার অভিষেকে উচ্চ-নীচ, জ্ঞানী মূর্খ, ধনী দরিদ্র, সকলেই, এক আনন্দের মহাযজ্ঞে সম্মিলিত হইয়াছিল — বাঙ্গলা রামায়ণ, বিশেষভাবে, বাঙ্গলাদেশের সেই ভক্তিযুগের সৃষ্টি। বাঙ্গলাদেশে সেই যে,Read More →

ভোরবেলা ঘুম ভাঙল বিবেকানন্দের। তাকালেন ক্যালেন্ডারের দিকে। আজই তো সেই দিন। আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস। আর আমার দেহত্যাগের দিন। মা ভুবনেশ্বরী দেবীর মুখটি মনে পড়ল তাঁর। ধ্যান করলেন সেই দয়াময় প্রসন্ন মুখটি। বুকের মধ্যে অনুভব করলেন নিবিড় বেদনা। তারপর সেই বিচ্ছেদবেদনার সব ছায়া সরে গেল। ভারী উৎফুল্ল বোধ করলেন বিবেকানন্দ। মনেRead More →

বিরাম নাই, তাঁহার বিরাম নাই। শ্রান্তিহীন তাঁহার রথের গতি। রথচক্রের ঘর্ঘরধ্বনিও তাই হইয়া চলিতেছে অবিরাম। তবে সে ধ্বনি কানে সহসা ধরা দিতে চাহে না। অধরা থাকাই যেন তাঁহার খেলা। তাই কান পাতিতে জানিতে হয়। যোগী কান পাতিয়া ইহার নাম দিয়াছেন ‘অনাহত শব্দ’ । ‘কবির্মনীষী’ কান পাতিয়া নাম দিয়াছেন ‘প্রণবনাদ প্রচণ্ড’Read More →

গুপ্তিপাড়ার রথ বাংলার রথযাত্রার মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত। নানা মতভেদ থাকলেও ১৭৪০ সালে এই রথ উত্‍সব শুরু হল বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। সূচনা করেন মধুসুদানন্দ নামে এক ভক্ত। ভাণ্ডার লুট গুপ্তিপাড়ার রথের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। সেটা বরং পরে আলোচনা করা যাবে। পুরীর রথের সঙ্গে গুপ্তিপাড়ার রথের এক বড় পার্থক্য আছে। পুরীর রথকেRead More →

কামাখ্যা তীর্থক্ষেত্র একটি শক্তিপীঠ ও তন্ত্র সাধনার ক্ষেত্র। অসমের কামাখ্যা মন্দির গুয়াহাটি শহরের পশ্চিমাংশে নীলাচল পর্বতে অবস্থিত। এটি ৫১ সতীপীঠের অন্যতম। কালিকা পুরাণ-এর মতে, কামাখ্যা মন্দিরে সতী শিবের সঙ্গে বিহার করেন। এখানে তাঁর দেহের যোনি অংশটি বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রে ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। গর্ভগৃহটি আসলে ভূগর্ভস্থ একটি গুহা। এখানে কোনো মূর্তিRead More →