করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে ছন্দে ফিরছে কলকাতা। সামনে আবার বড়দিন, নিউ ইয়ার। ফলে শহরের লাইফলাইন মেট্রো ব্যাপক ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা। অথচ এই ই-পাসের জন্য অনেকেই মেট্রোই চড়তে চাইছে না। তাই এবার অফিস টাইম বাদে অন্যসময় ইপাস বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।
মেট্রো সূত্রে খবর, সোম থেকে শনিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে ১১টা পর্যন্ত মেট্রো চড়তে প্রয়োজন হবে ই-পাস। আবার বিকেল ৫টা থেকে আটটা পর্যন্ত ই-পাস লাগবে। বাকি সময় কোনও ই-পাস লাগবে না। রবিরার দিনভর কোনও যাত্রীরই ই-পাসের প্রয়োজন পড়বে না। আগে অবশ্য ই-পাস ছাড়া মেট্রোয় ওঠার অনুমতি পেয়েছিলেন প্রবীণ নাগরিক, ১৫ বছরের কম বয়সি ও মহিলারা। এবার সকলের জন্য শর্তসাপেক্ষে এই নিয়ম কার্যকর করল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ডিসেম্বরে ১৪ তারিখ থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। তবে এখনও টোকেন কেটে মেট্রো ওঠায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, এর আগে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, সকাল সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত এবং রাত আটটার পরের মেট্রোয় যাতায়াত করলে কোনও ই-পাস (Epass) প্রয়োজন হবে না। এবার সেই সময়সীমা আরও বাড়ানো হল। এদিকে বাড়ছে ট্রেনের সংখ্যাও। দিনে ২১৬টি মেট্রো চলাচল করবে। রাত সাড়ে ১০টা অবধি মিলবে মেট্রো পরিষেবা।
এদিকে দক্ষিণেশ্বর থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত পরিষেবার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই যারা ওই দুই স্টেশনের দায়িত্বে থাকবেন তাদের সেখানে বদলি করা হয়েছে। প্রায় ২৫ জন স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট, স্টেশন সুপারভাইজার এবং ট্রাফিক আসিস্ট্যান্টদের অন্য স্টেশন থেকে দক্ষিণেশ্বর এবং বরানগর স্টেশনে পাঠানো হয়েছে। সাত ডিসেম্বর এই বদলির অর্ডার বেরোয়। সেখানে প্রচুর রদবদল যেমন করা হয়েছে, তেমনই অধিকাংশকেই পাঠানো হয়েছে দক্ষিণেশ্বর এবং বরানগর স্টেশনের দায়িত্ব দিয়ে। নতুন বছরের গোড়াতেই উদ্বোধন হবে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর এই বর্ধিত পরিষেবা। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ অধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কবে থেকে ওই সম্প্রসারিত অংশে ট্রেন চলা শুরু হবে তা এখনও ঠিক হয়নি।”