বিশ্বের প্রথম করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার নিয়ে রাশিয়ার দাবি একপ্রকার নস্যাৎ করে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাঁদের দাবি, রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক-ভি এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে অংশই নেয়নি। বস্তুত তাঁদের কাছে চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে অংশ নেওয়া যে ৯ টি ভ্যাকসিনের তালিকা আছে, তাতে নামই নেই রাশিয়ার ভ্যাকসিনটির।
স্পুটনিক-ভি। রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী এটিই পৃথিবীর প্রথম কার্যকরী করোনা ভ্যাকসিন। খোদ রাশিয়ার রাষ্ট্রনায়ক ভ্লাদিমির পুতিন সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছেন, তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উপযোগী এবং এর তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কিন্তু পুতিনের সেই দাবি মানতে নারাজ বিশ্বের অনেক দেশই। এতদিন ধরে ভ্যাকসিন নিয়ে সাফল্যের দৌড়ে এগিয়ে ছিল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনকা। ছিল মডের্না (Moderna), ফাইজারের মতো সংস্থাও। তাদের টেক্কা দিতেই রাশিয়া তড়িঘড়ি স্পুটনিক-ভি আনার কথা ঘোষণা করেছে বলে দাবি করছেন বহু দেশের বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের প্রধান অভিযোগ, রাশিয়ার এই করোনা ভ্যাকসিন এখনও মানব ট্রায়ালের সমস্ত ধাপ উত্তীর্ণ হয়নি। তাই এর কার্যকারিতা সংশয়াতীত নয়।
এবার WHO’ও বলেছে, সুরক্ষা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য কঠোরভাবে পর্যালোচনা করেই ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দেবে তারা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এই ভ্যাকসিন এখনও প্রাথমিক পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। ফেজ টু বা ফাইনাল স্টেজ পরীক্ষা, যেখানে কয়েক হাজার মানুষের উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়, তা করা হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেলের উপদেষ্টা ডঃ ব্রুস এলিওয়ার্ড বলছেন,”এই মুহূর্তে রাশিয়ার টিকাটিকে ছাড়পত্র দেওয়ার মতো তথ্য আমাদের হাতে নেই। WHO রাশিয়ার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে যাতে এই প্রতিষেধক সম্পর্কে আরও বেশি বেশি তথ্য পাওয়া যায়। কী কী পর্যায়ের ট্রায়াল হয়েছে তা জানা যায়। তারপরই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই বক্তব্যেই স্পষ্ট, এখনই রাশিয়ার এই টিকা ছাড়পত্র পাচ্ছে না।