অযোধ্যা: বিতর্কের ইতিহাস অনেক পুরনো। তবে ২৯ বছর ইতিহাস মনে রাখবে ভারত। ১৯৯১ -এর পর থেকে তোলপাড় হয়েছে ভারতের ধর্ম-রাজনীতি। অযোধ্যাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে গোবলয়ের রাজনীতি। সেই ২৯ বছর পেরিয়ে অযোধ্যায় পা রাখবেন নরেন্দ্র মোদী।
আজ তিনি দিল্লির মসনদে। তাঁর হাতেই হবে রাম মন্দিরের ভূমিপূজনের সূচনা। ৪০ কেজির রূপোর ইঁট স্থাপন করবেন তিনি। ধুতি-পাঞ্জাবি পরে অযোধ্যায় পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী।
২৯ বদর আগেও তিনি গিয়েছিলেন অযোধ্যায়। মুরলী মনোহর যোশীর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর একটি ছবি পাওয়া যায়, যা অযোধ্যায় তোলা বলে জানা যায়। সম্প্রতি ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহেন্দ্র ত্রিপাঠি নামে এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, ওই ছবি তাঁরই তোলা।
তিনি জানিয়েছেন রাম মন্দির চত্বরের কাছেই তাঁর স্টুডিও। তিনিই ২৯ বছর আগে এই ছবি তুলেছিলেন। রাম জন্মভূমি নিয়ে তখন তোলপাড় আযোধ্যা। এটি সেইসময়ে তোলা ছবি বলেই জানা যায়।
ওই ব্যক্তি আরও জানান, সেইসময় এক স্থানীয় সাংবাদিক মোদীকে প্রশ্ন করেছিলেন, তিনি আবার অযোধ্যা আসবেন কিনা। মোদী বলেছিলেন, ‘যেদিন রাম মন্দির হবে, সেদিন আসব।’ তাঁর কথায়, কথা রেখেছেন মোদী। রাম মন্দিরের জন্যই ২৯ বছর পর অযোধ্যায় এলেন প্রধানমন্ত্রী।
অযোধ্যায় এসে প্রথম হনুমানগড়ি মন্দিরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবারের সফরে সাকেত কলেজে থেকে প্রথমে হনুমানগড়িতে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ১০ মিনিট থাকার কথা প্রধানমন্ত্রীর। বেলা ১২টায় রাম জন্মভূমির অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। বৃক্ষরোপণ করার কথা রয়েছে তাঁর।
প্রধানমন্ত্রী যে রাস্তা দিয়ে যাবেন সেই রাস্তার সঙ্গে অন্যান্য যেসব ছোট রাস্তা এসে মিশেছে সেগুলিকে আটকে দেওয়া হয়েছে আগেই। জানা যাচ্ছে, রামন্দিরের অনুষ্ঠানের শুরুতে সবাইকে আশীর্বাদ করবেন রামজন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্রের অধ্যক্ষ নৃত্যগোপাল দাস। এরপর ভাষণ দেবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।
ভূমি পুজোয় অংশ নেওয়ার পর ভাষণ দেবেন নরেন্দ্র মোদী। রামমন্দিরের ভূমিপুজোয় প্রধান যজমান হিসেবে থাকবেন বিশ্বহিন্দু পরিষদের প্রাক্তন প্রধান তথা রাম মন্দির আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ অশোক সিঙ্ঘলের ও তাঁর ভাইপো সলিল সিঙ্ঘল