প্রমাণ মেলেনি পুলিশি হেনস্তার! ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে অর্ণব গোস্বামী

সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর (Arnab Goswami) করা পুলিশি হেনস্তার অভিযোগ ভিত্তিহীন। মেডিক্যাল রিপোর্টে তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। মহারাষ্ট্রের আলিবাগের এক আদালতের বিচারক এমনটাই জানিয়েছেন। ওই আদালতই রিপাবলিক টিভির সম্পাদককে ১৪ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই কাটাতে হবে অর্ণবকে। তবে, জামিনের জন্য উচ্চতর আদালতে আবেদন করতে পারবেন তিনি।

গতকাল গ্রেপ্তারির পর অর্ণবকে আলিবাগের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পেশ করা হয় এবং তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। আদালতে পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালের অনভয় মালিক আত্মহত্যা মামলাটি তাঁরা পুনরায় চালু করছেন। এবং এই মামলার তদন্তে বড়সড় অগ্রগতি হয়েছে। অর্ণব প্রভাবশালী ব্যক্তি, তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন, সেই যুক্তিতে ১৪ দিন তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল মুম্বই পুলিশ। শেষপর্যন্ত অবশ্য আদালত পুলিশের সেই দাবি মানেনি। আবার সাংবাদিকের জামিনের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে। আপাতত অর্ণবকে ১৪ দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, অর্ণব গোস্বামী যে অভিযোগ করছিলেন পুলিশ তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে হেনস্তা করেছে, ডাক্তারি রিপোর্টে সেই অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমান মেলেনি বলেও জানিয়ে দিয়েছে আদালত।

বুধবার সকালে অর্ণবের গ্রেপ্তারির পর থেকেই দেশজুড়ে মুম্বই পুলিশের (Mumbai Police) ভুমিকা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে বিজেপি। গতকাল দিল্লি-মুম্বই-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একেবারে বিজেপির (BJP) পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের। একজন সাংবাদিকের সমর্থনে কোনও এক রাজনৈতিক দলের বিক্ষোভের এই ঘটনা বিরল। এদিকে, অর্ণবের গ্রেপ্তারির জন্য মুম্বই পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রয়াত ইন্টেরিয়র ডিজাইনার অনভয় মালিকের স্ত্রী অক্ষতা মালিক। অর্ণবের গ্রেপ্তারির জন্য মুম্বই পুলিশকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলছেন,”আমি জানি না ২০১৮ থেকে এতদিন কোনও পদক্ষেপ কেন করা হল না। আমি আমার স্বামীকে হারিয়েছে, শাশুড়িকে হারিয়েছি। এই মামলাটা দায়ের করার পর থেকে অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছে। বহু হুমকি দেওয়া হয়েছে, ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকী মামলার ক্লোজার রিপোর্টে সই করার জন্য চাপ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.