যাদবপুরের কেপিসি হাসপাতালে (Kpc Hospital) জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। গতকাল রাত থেকে হাসপাতালের মেন গেটে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল জুনিয়র ডাক্তাররা। স্টাইপেন্ড (Stipend) বৃদ্ধির দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জুনিয়র ডাক্তারদের স্টাইপেন্ড বৃদ্ধির ব্যাপারে উদাসীন, এমনই অভিযোগ বিক্ষোভকারী চিকিৎসকদের। যদিও এখনও পর্যন্ত এব্যাপারে কেপিসি সাহাসপাতালের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
করোনাকালে এবার স্টাইপেন্ড বৃদ্ধির দাবিতে সরব যাদবপুরের কেপিসি হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, অন্য সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ইন্টার্নদের (Intern) যে পরিমাণ স্টাইপেন্ড দেওয়া হয়, এই হাসপাতালে তা মেলে না। পরিশ্রমের সঠিক পারিশ্রমিক না মেলায় দিনে-দিনে ক্ষোভ বাড়ছিল কেপিসি হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের। স্টাইপেন্ড বৃদ্ধির দাবিতে হাসপাতালের মেন গেট আটকে বিক্ষোভ দেখান জুনিয়র চিকিৎসকরা।
রাতভর হাসপাতালের মেন গেট আটকে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors)। এমনকী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারী চিকিৎসকরা। দাবি না মেটা পর্যন্ত তাঁদের এই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভরত জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভের জেরে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। যদিও এদিন সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে অনড় থাকলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে।
জানা গিয়েছে, কেপিসি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে স্টাইপেন্ড বাড়ানোর দাবি আগেই জানিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। অন্য সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ইন্টার্নদের যে স্টাইপেন্ড দেওয়া হয় সেই হারে পারিশ্রমিকের দাবি জানানো হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ না মানায় এবার আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি মতো স্টাইপেন্ডের অঙ্ক না বাড়ানো হলে আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অন্যদিকে, হাসপাতাল কতৃপক্ষ জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মানবে কিনা তা এখও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। ইন্টার্নদের এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি কেপিসি হাসপাতালের তরফে।