মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পাঠানো নিয়ে কলকাতা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন (CESC) এর বিরুদ্ধে শহরের মানুষের ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হচ্ছিল। সেই ক্ষোভের আঁচ পেয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে কিছুটা হলেও পিছু হঠলো সিইএসসি। রবিবার রাতে এক প্রেস বিবৃতি জারি করে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিদ্যুৎ বিল নিয়ে জনতার একাংশের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ফলস্বরূপ, জুন মাসের বিল বাদ দিয়ে বাকি দুই মাসের বিল স্থগিত রাখা হচ্ছে। যা পরবর্তী দু’মাসে গ্রাহকদের দিতে হবে। এর পদ্ধতি পরবর্তী সময় গ্রাহকদের জানানো হবে।
সিইএসসি-র এমন ঘোষণার কথা টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
তিনি লেখেন, “সিইএসসি কলকাতার মোট ৩৩ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ২৫.৫ লক্ষ গ্রাহককে ত্রাণ ঘোষণা করেছে। এখন, কেবলমাত্র জুনের আসল খরচ পরিশোধ করতে হবে। এপ্রিলের ২ মাস এবং জুন মাসে মে মাসের জন্য বিল হিসাবে প্রাপ্ত পরিমাণগুলি অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অর্থ প্রদানের তারিখগুলিও বর্ধিত। জিতল কলকাতা!”
এদিন সন্ধ্যায় সিইএসসির কর্তৃপক্ষের ফোন পান বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Power Minister Shovandeb Chatterjee)। পরে তিনি বলেন, “অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল নিয়ে জনতার মনে যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল তার ফলস্বরূপ আমি সিইএসসি-র সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছিলাম। আগামীকাল তাদের সঙ্গে আমার বৈঠক রয়েছে। কিন্তু তারা ফোনে জানিয়েছে, আপাতত তারা এপ্রিল ও মে মাসের বিল স্থগিত রাখছে।” জানিয়েছেন সোমবার সিইএসসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু জানাতে পারবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে শহরের বেশিরভাগ গ্রাহকের মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসায় বিক্ষোভ শুরু হয়। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে শেষ দশ দিনে কয়েক হাজার অভিযোগ জমা পড়ে। মেইলেও অজস্র অভিযোগ আছে তাঁর দপ্তরে। শেষমেষ সিইএসসি-র কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। বৈঠকে বিদ্যুৎমন্ত্রী তাদের নির্দেশ দেন সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করতে। সেইমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ তাদের অবস্থান জানায়। কিন্তু তাতেও ক্ষোভ প্রশমন হয়নি আমজনতার। শেষমেষ এপ্রিল ও মে মাসের বিল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় খানিকটা হলেও স্বস্তি গ্রাহক মহলে।