পিএম কেয়ারের টাকায় কেনা ভেন্টিলেটরের দামে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ! ফাঁস RTI-এ

 পিএম কেয়ার (PM CARES) তহবিলে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ। আগেই এই তহবিলের অর্থ নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছিল। সেই বিতর্কের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এমনকী, এই তহবিলের টাকায় কেনা ভেন্টিলেটরের (Ventilator) গুনমান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এবার সেই ভেন্টিলেটরের দাম ও সরবরাহকারী সংস্থার গুনমান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এ নিয়ে সম্প্রতি এক আরটিআইয়ের (RTI) রিপোর্ট সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে অনেকের

পিএম কেয়ার তহবিলের টাকায় কত ভেন্টিলেটর কেনা হয়েছে, কারা তার বরাত পেয়েছে, কত দামে কেনা হয়েছে এবং কোন কোন হাসপাতাল সেই ভেন্টিলেটর পেয়েছে-বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়ে জুন মাসে আরটিআই করেছিলেন অঞ্জলি ভরদ্বাজ নামে এক সমাজকর্মী। জুলাই মাসে সেই আরটিআইয়ের জবাব দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক (Health and Family Welfare Ministry)। তাতে বলা হয়, ৫৮ হাজার ৮৫০টি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ভেন্টিলেটর কিনতে পিএম কেয়ার তহবিল থেকে দু’হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫০টি ডিআরডিও-হাসপাতালে ও তিনটি অল ইন্ডিয়া আয়ুশ ইনস্টিটিউটকে দেওয়া হয়েছে। ওই জবাবে কোন সংস্থাকে কত টাকার বরাত দেওয়া হয়েছিল, কত দামে কোন সংস্থা থেকে ভেন্টিলেটর কেনা হয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই কারচুপি সামনে এসেছে বলে অভিযোগ।

আরটিআই করেছিলেন যিনি সেই অঞ্জলি ভরদ্বাজের অভিযোগ, এক-এক সংস্থা থেকে এক-এক দামে ভেন্টিলেটর কেনা হয়েছে। আরটিআইয়ের জবাব অনুযায়ী, অ্যালায়েড মেডিক্যাল সংস্থা থেকে যেখানে প্রতিটি ভেন্টিলেটর প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। সেখানে আগভা হেলথ কেয়ার থেকে এক-একটি ভেন্টিলেটর দেড় লক্ষ টাকা দরে কেনা হয়েছে। উপরন্তু, যে ছ’টি সংস্থা থেকে এই ভেন্টিলেটরগুলি কেনা হয়েছে অভিযোগ, তার মধ্যে তিনটিকে অনুমোদনই দেয়নি বিশেষজ্ঞের দল। অথচ করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সামগ্রী কেনার বিষয় একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে Jyoti CNV Automation এবং AMTZ Basic। তারপরেও কীভাবে ওই সংস্থাগুলি থেকে ভেন্টিলেটর কেনা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

ইতিপূর্বে পিএম কেয়ার তহবিলের অর্থে কারচুপি হতে পারে বলে অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। এই তহবিলের হিসেব নিকেশ অডিট করতে পারবে না কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেলও (CAG)। তবে সুপ্রিম নির্দেশের পর সমস্ত বিরোধিতা কিছুটা স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল। এররপর এই আরটিআইকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা যে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের সরব হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এর জবাব কেন্দ্র কী বলে, তাই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.