স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য প্রতিটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়(একক প্রতিষ্ঠান) অনলাইন পদ্ধতি অনলম্বন করে। ইউনিয়নের দাদাদের জোরজুলুম করে অবৈধ অর্থ আদায়ের হাত থেকে ছাত্রদের বাঁচাতে পুরো পদ্ধতিটি অনলাইন করার জন্য সরকার বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে ছাত্রদের কোনওভাবে কলেজে আসতে না হয়। কিন্তু এই পদ্ধতিতে ছাত্র ও অভিভাবকদের উপর প্রচুর অর্থনৈতিক চাপ পড়ে। এতে পছন্দমত কলেজে পছন্দের বিষয়ে প্রায়ই ভর্তি হতে পারে না এবং অনেকে আদৌ ভর্তিই হতে পারে না। ফলে ছাত্ররা উদ্বেগ এবং হতাশার মধ্যে থাকে। আবার অন্যদিকে অনেক কলেজে প্রচুর সিট খালি থাকে।
বর্তমান পদ্ধতিতে একটি ছাত্রকে পছন্দের কলেজের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হয়।
সাধারণতঃ একজন ছাত্র 4টি অনার্স বিষয়ে আবেদন করতে পারে। প্রতিটি বিষয়ে 150 থেকে 500 টাকা পর্যন্ত আবেদন ফী দিতে হয়। (অনেক কলেজই এই সুযোগকে প্রাইভেট তহবিল গঠনের জন্য কাজে লাগায় এবং এর হিসেব সরকারকে দিতে হয় না, অডিটের বাইরে থাকে।) তাহলে প্রতি কলেজে আবেদন করার জন্য তাকে 2000 টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়। তার সঙ্গে সাইবার কাফের খরচও যুক্ত হয়। ফলে সাধারণ মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র ঘরের ছেলেরা বেশী কলেজ ও বেশী বিষয়ের জন্য আবেদন করতে পারে না। আর স্বাভাবিকভাবে প্রত্যেকে নামী কলেজগুলোতেই আবেদন করে। ফলে সেখানে তীব্র প্রতিযোগিতা হয় এবং ভাল মার্ক পেয়েও ছাত্রটি সেখানে ভর্তি হতে পারে না। এভাবে ছাত্রটি আদৌ ভর্তি নাও হতে পারে। কিন্তু সে যদি অনামী কলেজগুলোতে আবেদন করত, তাহলে সহজেই ভর্তি হতে পারে। সেজন্য অনামী কলেজগুলো বেশী ছাত্র বা ভাল ছাত্র পায় না এবং তাদের অনেক সীট খালি থাকে। এখন সব কলেজেই CSC/PSC এর প্যানেল থেকেই অধ্যাপকরা নিযুক্ত হন
ভাল নম্বর পাওয়া একই ছাত্র মেধা তালিকার প্রথম বা দ্বিতীয় তালিকায় একাধিক কলেজে থাকে এবং তার সর্বোচ্চ পছন্দের কলেজে ভর্তি হয়। ফলে প্রথম/দ্বিতীয় তালিকায় সব কলেজেই কম সংখ্যক ছাত্র ভর্তি হয়(30% – 40%)। আর অপেক্ষাকৃত কম নম্বরের ছাত্র তৃতীয় বা পরবর্তী তালিকায় স্থান পায়। ফলে তাদের প্রচন্ড উদ্বেগের মধ্যে কাটাতে হয়।
বিভিন্ন কলেজের বিভিন্ন সময় সূচী। ফলে একজন ছাত্র বা অভিভাবককে সর্বদা সতর্ক থাকতে হয় এবং ইন্টারনেট ও সাইবার কাফেতে যোগাযোগ রাখতে হয়। এটি বিশেষ করে মফস্বলের ছাত্রদের পক্ষে খুব অসুবিধাজনক।
কলেজ কেন্দ্রিক ভর্তি প্রক্রিয়ায় একজন ছাত্র একটি কলেজে ভর্তি হয়ে থাকলে অন্য কলেজের পক্ষে জানা সম্ভব হয় না। আগে ভর্তি হলে এডমিটকার্ড বা মার্কশিটে “ভর্তি” ছাপ মেরে দেওয়া হত। এখন ছাত্রদের কলেজে সশরীরে আসতে হয় না, তাই ছাপ মারা যায় না। ফলে একজন ছাত্র একাধিক কলেজে সীট ধরে রাখতে পারে। সেজন্য একজন যোগ্য প্রার্থী বঞ্চিত হয়। এই ভর্তি প্রক্রিয়ায় কলেজ শিক্ষক এবং অফিস কর্মীদের অনেক সময়, শ্রম ও প্ৰচেষ্টা দিতে হয়, যা পঠন পাঠন প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করে।
এই সমস্ত ত্রুটিগুলি দূর করতে রাজ্যের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিয়ে একটি কেন্দ্রীভূত ভর্তির ব্যবস্থা করা হোক, যেভাবে JEE বা NEET এর ভর্তি হয়।এখানে ছাত্র শুধু একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালে আবেদন করবে। এখানে ছাত্র তার পছন্দের কলেজ ও বিষয় লিপিবদ্ধ করবে। সেই কলেজ যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হতে পারে। ছাত্রের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রতি বিষয়ের মেধা তালিকা তৈরি হবে। তারপর তার পছন্দ অনুসারে কলেজ নির্বাচন হবে। যদি পছন্দের কলেজে সুযোগ না হয়, তাহলে তার বাসস্থান বা পছন্দের স্থানের নিকটতম কলেজে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া যেতে পারে। বর্তমানে GPS প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সফটওয়্যারের সাহায্যে সহজেই Location determination করা যায়। এতে অনামী কলেজগুলিতেও ছাত্র পেতে সুবিধা হবে। এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে পশ্চিম বঙ্গ রাষ্ট্রবাদী কলেজ শিক্ষক সমিতি[Nationalist Government College Teachers’ Association of West Bengal (NGCTA-WB)] রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের জন্য কেন্দ্রীয় ভর্তি ব্যবস্থা চালু করার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন করছে। বিশেষতঃ আমফান এবং করোনাজনিত বর্তমান অবস্থায় ছাত্র অভিভাবকদের বিশেষ অর্থনৈতিক সুরাহা হবে এবং তাদের উদ্বেগ প্রশমিত হবে। উল্লেখ্য অধ্যাপক ব্রাত্য বসু মহাশয় শিক্ষামন্ত্রী থাকা কালে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক কেন্দ্রীয় ভর্তির প্ৰচেষ্টা নিয়েছিলেন, TCS এর মতো নামী সফটওয়্যার কোম্পানিকে দিয়ে এর পর্যালোচনাও করা হয়। কিন্তু এর পরেই তাঁর মন্ত্রক পরিবর্তিত হয়ে য়ায়। ফলে তা বিশেষ এগোয় নি।
আর একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দেখা যায় প্রথম/দ্বিতীয় তালিকার অনেক ছাত্রই পরবর্তীকালে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিকেল পড়তে চলে যায়। ফলে নামী কলেজগুলিতেও অনেক সীট ওই বছরের জন্য খালি থেকে যায়। তাই জয়েন্ট এনট্রান্স এর ফল প্রকাশ ও ভর্তির ব্যবস্থা আগে করতে হবে।
অধ্যাপক নির্মল মাইতি
সাধারণ সম্পাদক
পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রবাদী কলেজ শিক্ষক সমিতি

NATIONALIST GOVERNMENT COLLEGE TEACHERS’ ASSOCIATION OF WEST BENGAL ( NGCTA – WB )
রাষ্ট্র্ববাদী পশ্চিম বঙ্গ সরকারী কলেজ শিক্ষক সমিতি
Suit No. 2-C, 3O A, Raja S. C. Mullick Rd. Kolkata – 700032
उत्तिष्ठत जाग्रत प्राप्य वरान्निबोधत।

Ref No – Admission 1 Date: 6.8. 2020

Sir
Admission in graduate course is a big headache for stuednts, teachers, gurdians and Government also. We have some suggestion to simplify and solve the process of admission.
We requsted Govt to go through the proposal of “Unitary Centralised Online Admission” and implement it.
We will be grateful if you publish this article in Ritam.
Thanks
N K Maity
Unitary Centralized Online Admission

The Government has made online admission compulsory to curb the extortion of money from students thereby exempting them of their physical presence in college premises. Still, students and guardians suffer greatly due to this process, as a student has to apply separately in each college of his/her choice. Generally, a student can apply for four Honours subjects in a college with an application fee ranging up to Rs.500/- or more per subject, (Many institutions use this opportunity to raise their private fund outside the ambit of an audit). Very often, depending on merit, a student cannot get admission to his/her favorite subject in his/her chosen college in the first round of counseling. Therefore, the student has to take admission to a subject and/or college, not on his first or second preference. In the second, third, or subsequent round of admission, the student may get admission close to his/her preference and has to remit admission fees again. A student thus ends up wasting money unknowingly on application fees. Moreover, on top of that, some colleges charge a hefty sum for issuing a ‘Transfer Certificate’, thereby increasing the expenditure of a student.

The disparity in the admission schedule of colleges adds to the sufferings of a student. Because of which a student has to always remain alert and constantly monitor the website of different colleges. Therefore, the students not having easy access and expertise to the internet are at a great disadvantage as they end up spending a huge sum at a cyber cafe, which sometimes even extends to Rs.200/- per subject.

Thus, a student applying in three colleges for three subjects in each such college and getting a preferable combination of subject and college in the third round of counseling may end up spending huge money. A middle-class or marginal student may not have such a hefty reserve for college admission.

Another drawback of the system is that a student can keep his/her seat reserved by taking admission to different colleges thereby depriving genuine students of admission. As earlier, in admission with a physical presence, an ‘Admitted’ stamp was put on the admit card and/or the mark sheet of the student. However, presently to avoid the presence of students in premise to save them from admission mafias that is not possible and so a student’s admission to other colleges cannot be known. A student can book his seat in several colleges thus depriving the genuine candidates.

Generally, colleges of high repute get the attention of guardians and students. However, mediocre students have little chance of admission to such colleges, so their effort goes in futile as for a student or a guardian it is not possible to be aware of the ground reality and predict a dynamic system such as college admission process. Again, due to money constraints, middle-class or marginal students cannot apply in many colleges. So colleges of less repute and rural colleges do not get many applications and good students, so their seats remain vacant. On the contrary, it has also been seen that even a good student securing good marks applies for a combination of few reputed colleges and subjects and fail to secure admission in that year due to expiry of the schedule.

Admission from an Institution’s point of view is also a great headache as a huge time and workforce are required for the process. Moreover, in the current decentralized admission process, each college in the state individually ends up spending hefty money.

Thus, this system causes great harassment and financial burden to students/guardians, underutilization of education infrastructure, and frustration among students for not getting admission in proper subjects with Honours or Pass course, etc.

A Centralized Unitary Online Admission System under State Government control in line with NEET, JEE, etc. can solve all the drawbacks of the current system. Students will apply in Government admission portal giving preference to any number of subjects and/or colleges as in the case of WBJEE, thereby increasing the choices of a student. Thus student can get admitted in the institution of his choice or any available college nearest to his residence or location of his choice. Software can take care of this location factor through GPS technology. In this regard and particularly at the backdrop of ‘Amphan’ and ‘Covid19’ situation, Nationalist Government College Teachers’ Association of West Bengal (NGCTA-WB) strongly demands a centralized unitary admission system in the state.

Moreover, we urge that WBJEE counseling and its admission process must be completed as early as possible, at least before the beginning of classes in general degree colleges. We also urge that there should be no cutoff marks for any institution. Institutions will get the most eligible candidates in this system according to their repute. As it has been seen that in science courses, 1st/2nd list candidates mostly have a preference for engineering and/or medical courses and they leave after getting a chance in such courses. Whereas by that time other students are generally admitted to other colleges and the seats, remain vacant for that year. Institutions with repute are mostly affected in this manner. We also urge that there shouldn’t be any cut in marks(generally 4% per year) for previous year students. Because of this to avoid this mark cut of, some students just take admission but do not attend classes and engage themselves in preparing for JEE etc competitive exams.
Bye the bye, it is mentioned that Prof Bratya Bosu, the then education Minister took an attempt for central admission process university wise through reputed software companies like TCS in the year 2016. Ufortunately his Ministry was changed and the process was not completed and no further progress is heard.
So we urge Govt. to adopt and implement this Unitary Centralised Online Admission state wise for the interest of all.

Thank you

Sincerely yours
Nirmal Kumar Maity
General Secretary
Nationalist Government College Teachers’
Association of West Bengal (NGCTA-WB)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.