করোনার মারে নাজেহাল এয়ার ইন্ডিয়া। অবশ্য, মহামারীর আগে যে সরকারি বিমান পরিবহণ সংস্থাটি খুব লাভজনক ছিল তা নয়। ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে রীতিমতো গণেশ উলটে কেন্দ্রের গলায় কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। এহেন সংকটকালে এবার বেতনে কাটছাঁট হলে ‘তুমুল বিক্ষোভের’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংস্থাটির বিমান চালকরা।
সোমবার, এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে (CMD) রাজীব বনসলকে (Rajiv Bansal) চিঠি পাঠিয়েছে বিমান চালকদের সংগঠন Indian Commercial Pilots’ Association (ICPA)। ওই চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, “১৬ জুলাই নাগরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলেনে আপনি (রাজীব বনসল) বলেছিলেন, যে আপনারা পাইলটদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছুই হচ্ছে না। আপনারা কোনও আলোচনা না করেই নাগরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশ আমাদের জানিয়ে দিয়েছিলেন। এটা খুবই হাস্যকর যে করোনা মহামারীর জেরে চালকদের ৬০ শতাংশ বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও শীর্ষ কর্তারা মাত্র নিজেদের বেতন ,অত্র ৩.৫ শতাংশ কর্তন করেছেন। কর্মীদের বেতনে কোনও কাটছাঁট হলে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে আপনাদের।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি খরচ কমাতে একাংশ কর্মীকে পাঁচ বছর পর্যন্ত বিনা বেতনে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। এর আগে কর্মীদের বেতন কাটছাঁট করেছিল সংস্থাটি। সেই ক্ষোভ না মিটতেই ফের নয়া সিদ্ধান্তে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সংস্থাটির টালমাটাল অবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে ও কোভিড পরিস্থিতিতে পরিষেবা চালু রাখতে সম্প্রতি বৈঠকে বসেন এয়ার ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং বোর্ডের সদস্যরা। সেখানে বিমানসংস্থাটির চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে (CMD) ‘নন পারফর্মিং’ (যাঁদের কাজ সন্তোষজনক নয়) কর্মীদের পাঁচ বছর পর্যন্ত বিনা বেতনে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এবার কাজের নিরিখে কর্মীদের উপযোগীতা খতিয়ে দেখবে একটি বিশেষ বোর্ড। কাজের মান, দক্ষতা, শারীরিক সক্ষমতা এসবের উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে চূড়ান্ত রিপোর্ট। কারও কাজ সন্তোষজনক মনে না হলে তাঁকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাতে পারবেন CMD রাজীব বনসল।