লকডাউনে পৃথিবী তার চেনা ছন্দ হারিয়েছে। কমবেশি সকলেই ঘরবন্দী। তা বলে হাত গুটিয়ে বসে নেই জঙ্গি সংগঠনগুলি। করোনা ত্রাসের মাঝেই তাদের সন্ত্রাসের জাল বিছিয়ে চলেছে তারা। নতুন প্রজন্মের মগজধোলাই থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ, দলে লোক বাড়ানো থেকে হামলার নির্দেশ দেওয়া, সবটাই চলছে অনলাইনে। আর সাইবার গোয়েন্দাদের চোখ এড়িয়ে কীভাবে এই কাজ করা যায়, তারও কায়দা রপ্ত করে ফেলেছে তারা। ইসলামিক স্টেট বা আইএস (ISIS) তাদের ম্যাগাজিন সেই কায়দা-কানুনের কথা ফলাও করে ছেপেওছে। তবে সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হল, আইএস (ISIS) এবার পাখির চোখ করেছে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরকে (Kashmir)। সেখানে লোন উলফ হামলা চালাতে রীতিমতো কোমর বেঁধে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে তারা।
সম্প্রতি একটি বৈঠকে ভারতীয় সাইবার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংগঠনগুলি জানিয়েছে, উপমহাদেশ থেকেও জঙ্গি নিয়োগের চেষ্টা চালাচ্ছে ISIS। জেহাদের নামে কমবয়সীদের মগজ ধোলাই করার চেষ্টা করছে তারা। কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইসিস (ISIS।) অনলাইনে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। অনলাইনে প্রশিক্ষণের সময় যুবক-যুবতীরা কীভাবে গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দেবে, তাও তাদের শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এই বিষয়টাই সাইবার সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা সংগঠনগুলিকে ভাবাচ্ছে। প্রসঙ্গত, আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত ‘দ্য সাপোর্টারস সিকিউরিটি’ নামে একটি সাইবার সিকিউরিটি ম্যাগাজিনের মে মাসের সংখ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারের সময় কেমন সাবধানতা অবলম্বন করলে গোয়েন্দা সংস্থারগুলির চোখে এড়ানো যাবে, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল। ২৪ পৃষ্ঠার ওই ম্যাগাজিন স্মার্টফোন এবং কম্পিউটার ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বনের দিকটিও ছিল।
গোয়েন্দারা এখন আইএসের (ISIS)-এর অনলাইন নিয়োগের দিকে নজর রেখেছে। সাইবার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভিডিও গেমের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মগজ ধোলাই আর জিহাদের আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে আইএস (ISIS)। বিশ্বজুড়ে মহামারী চলাকালীন হামলা চালানোর নীল নক্সাও তৈরি করছে তারা। শুধু তাই নয়, ২০২০ সালের বাংলাদেশে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন আলকায়দা জম্মু কাশ্মীরে লোন উলফ হামলার ছক কষছিল বলে খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। আইএস (ISIS)-ও সেই একই পথে হাঁটছে বলে খবর। সম্প্রতি ভারতীয় গোয়েন্দার টেলিগ্রামের কিছু মেসের এনক্রিপ্ট করে। তাতেই দেখা যায় জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর লোন উলফ হামলার ছক কষছে আইএস। ফেসবুক, টুইটার, হোয়্যাটঅ্যাপ, টেলিগ্রামে সক্রিয় এই সংগঠনগুলির বেশিরভাগই পাকিস্তানে বসে পরিচালনা করা হয়।