রবিবার গভীর রাতে পৌঁছেছিলেন শহরে। সোমবার দু’জোড়া জনসভা করতে যাওয়ার আগে নিউটাউনের একটি পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বাংলার মানুষের কাছে আবেদন জানালেন, এককাট্টা হয়ে বুথে যান। নিজের ভোট নিজে দিন। যে আবহ বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করেছেন, তাকে ভেঙে ফেলুন।
এক বছর আগের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার কথা উল্লেখ করে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “গত পঞ্চায়েত ভোটে বাংলার ৩৭ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে পারেননি। এ বার ভোট দিন।” আশ্বাস দিয়ে শাহ বলেন, “গতবার নিরাপত্তা ছিল না। কিন্তু এবার পরিস্থিতি বদলেছে। বুথে থাকবে সিআরপিএফ। গণতন্ত্রের প্রহরী হিসেবে থাকবে বিজেপি কর্মীরাও। নিজের ভোট নিজে দিন। যাকে ইচ্ছে তাকে দিন।”
বাংলায় গণতন্ত্রের হত্যা হচ্ছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিজেপি-র শীর্ষ নেতা। কয়েকদিন আগেই পুরুলিয়ার আড়ষায় গ্রামের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল বিজেপি-র বুথকর্মী বছর ২৭-এর শিশুপাল সহিসের। একই ভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বলরামপুরে আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে দুই বিজেপি কর্মী ত্রিলোচন মাহাত এবং দুলাল কুমারের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এ দিন সেই প্রসঙ্গ টেনে অমিত শাহ বলেন, “বাংলার গণতন্ত্রকেও একই ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার লটকে দিয়েছে।”
বাংলায় গণতন্ত্রের হাল বোঝাতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন প্রসঙ্গও তোলেন শাহ। বলেন, “বাংলায় মমতাদিদির আমলে এমনই গণতন্ত্রের অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে, হাইকোর্টকে বলতে হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপে মনোনয়ন নিতে। দেশের আর কোথাও এমন অবস্থা নেই।”
তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে কটাক্ষের সুরে শাহ বলেন, “এখন দেখছি মমতাদিদি মাঝে মাঝে গণতন্ত্রের বুলি আওড়াচ্ছেন। এ সব দেখে.শুনেও ভাল লাগছে।”
সোমবার যত বেলা গড়াবে রাজনৈতিক উত্তাপও বাড়বে লাফিয়ে লাফিয়ে। অমিত শাহ চারটি সভা করবেন। মমতা করবেন তিনটি জনসভা। ফলে তৃতীয় দফার ভোটের আগের দিনই, তৃণমূল-বিজেপি সওয়াল জবাবে সরগরম হতে চলেছে বঙ্গ রাজনীতির উঠোন।