ভারতে (India)যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তা রীতিমত আশঙ্কার। ইতিমধ্যেই স্পেনকে ছাপিয়ে সর্বাধিক আক্রান্তের হিসেবে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে ভারত। রবিবার সকালেও যে ছবি সামনে এল তা উদ্বেগের।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৯,৯৭১ অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২,৪৬,৬২৮। ভারতে এই ভাইরাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ৬,৯২৯ জনের।
এইমসের ডিরেক্টর ড. গুলেরিয়া বলেন, যদিও আগামী ২-৩ মাসে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে তবে জাতীয় স্তরে কোনও কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়নি।
দেশের রাজ্যগুলির মধ্য এখনও আক্রান্তের সংখ্যায় সবার উপরে মহারাষ্ট্র। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৭৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮২,৯৬৮। তবে মহারাষ্ট্র সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন শিথিল হতে শুরু করেছে।
আগের সপ্তাহে চিনকে করোনা (corona)আক্রান্তের বিচারে পার করেছিল ভারত। ২৯ মে থেকে প্রত্যেকদিন ৮০০০ বা তার বেশি নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সামনে আসছে। ২ জুন ২ লক্ষ পেরিয়ে যায় আক্রান্তের সংখ্যা। এখন প্রত্যেক ১৫ দিনে দ্বিগুণ হচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কার বার্তা দিয়ে বলছেন, এই তালিকায় ভারত আরও উপরে উঠে আসবে, অর্থাৎ ভারতে সংক্রমণ আরও বেশি ছড়াবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে ইরান, জার্মানি ও ফ্রান্সকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারত। চলতি সপ্তাহের শেষে স্পেনকেও পিছনে ফেলে দেবে ভারত। জুনের মাঝামাথি ইউকে-কে পেরিয়ে যাবে।
চিনের একদল গবেষক জানিয়েছেন, ভারতে জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে দিনে ১৫ হাজার করে বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা। জুনের শুরুতে বর্তমানে ৮০০০ এর বেশি করে হচ্ছে সংক্রমণ। ফলে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কপালে।
যদিও এই আতঙ্কের মধ্যেও স্বস্তির খবর জানাচ্ছে এইমসের ডিরেক্টর, রণদীপ গুলেরিয়া।
তিনি জানিয়েছেন, করোনা প্রতিষেধক নিয়ে আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না মানুষকে। খুব বেশি হলে দু থেকে তিনমাস।