মারণ করোনাভাইরাস ক্রমেই ছড়াচ্ছে বাংলায়। কলকাতার (Kolkata) দেড়শোরও বেশি এলাকায় ব্যারিকেড করে সংক্রমণ রোখার মরিয়া চেষ্টা প্রশাসনের। গোটা কলকাতার (Kolkata) বিস্তীর্ণ এলাকা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
তা সত্ত্বেও লকডাউনের বিন্দুমাত্র পরোয়া না করেই শহর কলকাতার রাজাবাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা শিকেয় তুলে আইনকে পকেটে পুরলেন বেশ কিছু মানুষজন। রমজান মাসের প্রথম সোমবারের কেনাকাটায় উপচে পড়া ভিড় রাজাবাজারে (Rajabazar)।
সাধারণ দিনের মতোই ছবি সোমবারের রাজাবাজারে। লকডাউনের মধ্যে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জমিয়ে কেনাকাটায় ব্যস্ত রইলেন বাসিন্দাদের একাংশ। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রকাশিত একটি ভিডিও-য় সেই ছবি ধরা পড়েছে। ব্যারিকেড সরিয়েই রাজাবাজারে যাতায়াত করতে দেখা গেল শ’য়ে-শ’য়ে মানুষজনকে।
রাজাবাজার (Rajabazar) -সহ কলকাতার একাধিক এলাকায় লকডাউন সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে না বলেই আগেই অভিযোগ তুলেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এমনকী রাজাবাজার, তপসিয়া-সহ বেশ কয়েকটি এলাকার নাম করে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে লকডাউন কার্যকর করতে ওই এলাকাগুলিতে আরও কড়াকড়ি করার নির্দেশও দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতেই গোটা দেশে লকডাউন ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, এই ধরনের ভিড় থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। যার জেরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরেও যেতে পারে।
এদিকে, সোমবারে রাজাবাজারে যাঁদের লকডাউন উপেক্ষা করে পথে নামতে দেখা গেল তাঁদের কয়েকজন জানিয়েছেন, লকডাউনের জেরে রমজান শুরু হওয়ার আগে বাজার করার সুযোগ পাননি তাঁরা। তাই সোমবার বাজার খুলতে ভিড় উপচে পড়েছে।
যদিও সোমবার রাজাবাজারে (Rajabazar) লকডাউনের মধ্যেও এই বিপুল জমায়েত সরাতে কোনও পুলিশকর্মীকেই সেখানে দেখা যায়নি। এমনকী যাঁরা বাজার করতে এসেছিলেন তাঁদের অনেকেরই মুখে মাস্কও দেখা যায়নি।