দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৭১: স্বাস্থ্যমন্ত্রক

দেশে হু-হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মারণ ভাইরাসের থাবায় উদ্বেগে ভুগছে গোটা দেশবাসী। এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৪। এই অবস্থায় কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির তরফে নেওয়া হয়েছে অতি সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা। তবুও প্রতিদিনই ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের সংখ্যা। শুক্রবার রাত পর্যন্ত গোটা দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫০ পার করেছে।

দেশের এই অবস্থায় করোনা রুখতে রবিবার ১৪ ঘণ্টা জনতা কার্ফু জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও সবকিছু লকডাউন করে দেওয়া হবে কিনা সেই বিষয়ে সরকারি তরফে বিস্তারিত ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে মারণ এই ভাইরাসের থাবা থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একযোগে কাজ করে চলেছে কেন্দ্র-রাজ্যগুলি। এই অবস্থায় জনতা কার্ফু তথা এই অঘোষিত বন্ধ সফল করতে দলমত নির্বিশেষে সকলেই সমর্থন জানিয়েছেন সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী রবিবার যদি ১৪ ঘণ্টা জনতা কার্ফু জারি করার পিছনে রয়েছে মূলত কয়েকটি উদ্দেশ্য। যেমন বিশ্বের তাবড় তাবড় চিকিৎসক- বিজ্ঞানীরা জানাছেন, যেকোনো জীবাণুই খালি চোখে দেখা যায় না। ঠিক তেমনই, আমরা করোনার জীবাণুও খালি চোখে পর্যবেক্ষন করতে পারি না। তবে মারণ এই জীবাণু ১২ ঘণ্টার বেশি বাঁচে না। এছাড়াও করোনাভাইরাসের জীবাণু যেহেতু মানব বাহিত ছোঁয়াচে তাই এটি মানব শরীরে প্রবেশ করলে ২ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, মাটি বা তরল পদার্থেও এই জীবাণুর স্থায়ীত্বকাল ক্ষনিকের। তবে শীতল জিনিসের উপর এই ভাইরাস পড়লে তা জীবিত থাকবে বহুক্ষন।

সুতরাং ঠাণ্ডা পানীয়, জনসংযোগের মত কিছু কাজকর্ম সাময়িক ভাবে এড়িয়ে চললে প্রতিহত করা যেতে পারে এই ভাইরাস। সব থেকে বড় বিষয় হল, সবার আগে সকল মানুষকে সচেতনতার কাজে এগিয়ে আসতে হবে। বিজ্ঞানীরা জানাছেন, মারণ এই ভাইরাস মোকাবিলায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ভীষণ জরুরি। নিজেদের এবং প্রিয়জনের স্বার্থে অন্তত কিছুদিন মেনে চলুন সতর্কতামূলক সমস্ত রকমের কার্যাবলি।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখন্ডের রাজধানী দেরাদুনে নতুন ১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। এছাড়াও মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরেও ১ জনের দেহে করোনার জীবাণু মিলেছে। সব মিলিয়ে এদেশে ক্রমশ লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

অন্যদিকে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক জনহিতকর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.