মা ও মেয়েকে নৃশংস খুনে অভিযুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার শেখ সাদ্দাম ও তার সহযোগী

তেলেঙ্গানার (Telangana) ঘটনারই যেন পুনরাবৃত্তি। আশঙ্কা পোড়ানোর পিছনে রয়েছে ধর্ষণ। আর এর পিছনে নাম জড়ালো সাদ্দাম নামে এক যুবকের। জানা গিয়েছে এই যুবকের সঙ্গেই প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল রিয়ার। অভিযোগ এই যুবকের সঙ্গে একাধিক ছবিও ভাইরাল হয় রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু মাইতির (Subhandu Maity) সঙ্গে । তারপরই অভিযোগ ওঠে ঘটনার পরে অনেকটা দিন চলে যাওয়ার পরেও অপরাধ প্রকাশ্যে আসেনি বলে ক্ষোভ উগরে দেন নিউ ব্যারাকপুরের স্থানীয় বাসিন্দা। হলদিয়ায় ঝিকুরখালি নৃশংসভাবে জ্যান্ত পুড়িয়ে দেওয়া দুই সুন্দরী মা ও মেয়ের পরিচয় উদ্ধার, গ্রেফতার হলদিয়ার দুই কাল পিট সাদ্দাম (Saddam) ও মঞ্জুর (Manjur) ! গত ১৮ ফেব্রুয়ারী হলদিয়ার নম্বর ওয়ার্ডের ঝিকুড়খালি এলাকায় সকাল সকাল দুই মানুষকে আগুনে দাউদাউ করে পুড়তে দেখে আতঙ্কে শিউরে উঠেছিল এলাকার বাসিন্দারা ।

জল ছিটিয়ে নেভানোর পর দুটি দেহাংশ, পেষাকের কিছু অংশ এবং মাথার চুলের বেঁচে যাওয়া টুকরো দেখে পুলিশ অনুমান করেছিল হতভাগ্য দুজনেই মহিলা। তাঁদের পরিচয় উদ্ধারে মরিয়া হয়ে ঝাঁপায় দুর্গাচক থানার পুলিশ। পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি স্যোশাল মিডিয়াতেও দুই মৃত মহিলার পোষাক ও চুলের বর্ননা দিয়ে পরিচয় সন্ধানের উদ্যোগ নেওয়া হয় জেলা পুলিশের তরফ থেকে ।

আর এতেই সম্ভবতঃ কেল্লাফতে হয়ে যায়। মাত্র কয়েকদিনের চেষ্টাতেই এক্কেবারে অন্ধকারে থাকা ঘটনার পর্দাফাঁস করতে সচেষ্ট হল পুলিশ। ১৮ তারিখ বিকেলে ঘটনার প্রায় ৪৮ ঘন্টার ও বেশি সময় পর ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যায় দুই সদস্যের ফরেনসিক দল ।

এরপরেই বিভিন্ন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে এই দুই মহিলা হলেন নিউ ব্যারাকপুরের (New Barrackpur) বাসিন্দা রিয়া দে (Riya Dey) (২২) ও তাঁর মা রমা দে (Roma Dey) (৪০)। হলদিয়ার ঠিকাদার শেখ সাদ্দাম হুসেনের সঙ্গে প্রনয়ের সম্পর্ক ছিল রিয়ার। সাদ্দামই পরিকল্পনা করে মা ও মেয়েকে ডেকে এনেছিল হলদিয়ায়। তদন্তে নেমে পুলিশ সাদ্দাম ও তাঁর এক সঙ্গী শেখ মনজুরকে গ্রেফতার করেছে ।

রবিবার ধৃতদের হলদিয়া (Haldia) মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যে নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখার্জী (Indira Mukherjee) তমলুক এ নিজের অফিস এ সাংবাদিক সম্মেলনে এক রোমহর্ষক তথ্য জানিয়েছেন ।

তিনি জানান, ওই দুষ্কৃতীরা মা ও মেয়েকে জ্যান্ত পুড়িয়ে দিয়েছিল। অন্ততঃ ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে তেমনটা জানা গেছে। তবে মা ও মেয়ে নিউ ব্যারাকপুর থেকে কবে কি কারনে হলদিয়ায় এলেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। জ্যান্ত অবস্থায় ঝিকুড়খালী নিয়ে গিয়ে পোড়ানোর আগে আচ্ছন্ন করেছিল কিনা, নাকি তাঁদের মুখ বেঁধে গায়ে আগুন দিল তাও এখন পরিস্কার নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আরও কোয়েক জন জড়িত আছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। প্রসঙ্গত কিছু ছবি থেকে দেখা যায় মা ও মেয়ের সঙ্গে সমুদ্রে ঘনিষ্ঠভাবে দেখা যায় সাদ্দামকে। যা থেকে এর পিছনে সাদ্দামের জড়িত থাকার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। যদিও সাদ্দাম ফেরার ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.