হায়দ্রাবাদের বালাপুরে প্রায় হাজার পাঁচেক রোহিঙ্গার বাস। অস্থায়ী ঘর বাড়ি তৈরি করে তাতে বসবাসের পাশাপাশি দোকান ও ব্যবসার কাজে নেমে পড়েছে রোহিঙ্গারা। হঠাৎই তাদেরকে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অফ ইন্ডিয়ার তরফে নোটিশ পাঠানোয় শোরগোল পড়ে যায়। কয়েকজন ইতিমধ্যেই সে নোটিশ পাওয়ার পর থেকেই তাদের জাল আধার কার্ডের নথি ফেরত দিতে রাজি বলে সংবাদমাধ্যমের কাছে আর্জি জানায় ।
রোহিঙ্গা মুসলিমদের একটা বড় অংশ তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদের দুটি জায়গায় বসবাস করে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অভিযোগ আসে ওই জায়গাতে সরকারে থাকা কিছু রাজনৈতিক নেতাদের সাহায্যে ওরা ওখানে ঘাঁটি গেড়েছে। নকল আধার কার্ডের ব্যবস্থাও তারাই করে দিয়েছে বলে দাবি ওই রোহিঙ্গাদের ।
এমনকি সেই কার্ড জাল ধরা পড়ায় একাধিক রোহিঙ্গাকে জেলের হাওয়া খেতে হয়। তাদের দাবি, চিকিৎসা ক্ষেত্রে সরকারি সুযোগ সুবিধে পাইয়ে দিতে তাদেকে জাল আধার কার্ড করে নিতে বলে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা ।
যে জায়গায় তারা থাকতে শুরু করে সেই জায়গাটিও লেকের পার্শ্ববর্তী এলাকা যেখানে নেদারল্যান্ড সরকারের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতায় প্রকল্প চলছিল যা এই রোহিঙ্গা বসতির জন্য সম্পূর্ণ স্থগিত রাখতে হয়েছে ।
এই বিষয়ে তদন্তে পুলিশ ও রেভিনিউ বিভাগ। এফ আই আর দায়ের করা হয় অবৈধ বসতির জন্য। সারা দেশ জুড়ে এনারসি ও এনপিআর নিয়ে শোরগোলের মাঝে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের ওই নোটিশ নিঃসন্দেহে অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে রোহিঙ্গা মুসলিমদের। প্রসঙ্গত রোহিঙ্গাদের ভারতে থাকা নিয়ে আগে থেকেই কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এবার কি তবে এদের উৎখাতের প্রক্রিয়া শুরু হল,প্রশ্ন রোহিঙ্গাদের ।