শরজিল ইমামদের পিছনে রয়েছে জর্জ সোরাসের টাকা

দীপিকা পাড়ুকোনের পরবর্তী সিনেমা ৮৩। ভারতীয় ক্রিকেট দলের ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয় নিয়ে এই সিনেমা। বিগ বাজেট ফিল্ম। এই সিনেমায় অন্যতম লগ্নিকারী রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্ট।
এবার একটা আপাত অপ্রাসঙ্গিক কথা বলি। জর্জ সোরোস সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন ভারতবর্ষে জাতীয়তাবাদের উত্থানকে তিনি ভালো চোখে দেখছেন না। একে প্রতিহত করতে তিনি এক বিলিয়ান ডলার বিনিয়োগ করবেন। সব কাগজেই এই খবর ছাপা হয়েছে। বাংলা কাগজগুলো যথারীতি এই এক বিলিয়ন ডলারের অংশটি চেপে গেছে। তবে খবরের পেছনেও কিছু খবর থাকে এবং সেই খবরগুলো থেকে জানলেই মূল খবর জানা যায়।
সাল ২০১১, বিধানসভা নির্বাচনে ৩৪ বছরের বাম সরকারকে। পরাজিত করে ক্ষমতায় এলেন মমতা ব্যানার্জি। ক্ষমতায় আসার কিছু দিন পরেই হলদিয়া পেট্রোকেমে রাজ্য সরকারের শেয়ার ছেড়ে দেন এবং হলদিয়া পেট্রোকেমের পরিচালন ক্ষমতা পুরোপুরি চ্যাটার্জি গ্রুপের হাতে চলে যায়। আপাতভাবে এতে কোনো অসুবিধা নেই। কারণ সরকারের কাজ ব্যবসা করা নয়, সরকারের কাজ নীতি নির্ধারণ করা। কিন্তু তাও এই ঘটনার পেছনে কিছু ঘটনা আছে। যা আমাদের জানা দরকার।
বলুন তো কোন ঘটনায় বামেদের পতনের শুরু হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে? সবাই উত্তর দেবেন নন্দীগ্রামের গুলি চালনার ঘটনাই বামেদের পতনের মূল কারণ।ঠিকই বলবেন। এবার বলুন তো এই নন্দীগ্রামের ঘটনা কেন ঘটেছিল? সবারই মনে আছে। নন্দীগ্রামে পেট্রোকেমিক্যাল হাব তৈরি করার জন্য জমি অধিগ্রহণ করাকে কেন্দ্র করে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সূচনা এবং পরবর্তীকালে সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর নন্দীগ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষদের উপরে নৃশংস, নির্লজ্জ আক্রমণ। এর প্রতিবাদে সমস্ত বুদ্ধিজীবী রাস্তায় নামেন মমতার নেতৃত্বে। আন্দোলন নন্দীগ্রাম থেকে ছড়িয়ে পড়ে পুরো পশ্চিমবঙ্গে।
এবার একটু ভাবুন তো যে বুদ্ধিজীবীরা সামান্য কিছু সাম্মানিক আর কোনো একটা পদলাভের আশায় মুখ্যমন্ত্রীর পেছনে দাঁড়িয়ে তালি বাজিয়ে ‘কা কা ছি ছি’ গাইতে পারেন, যে বুদ্ধিজীবীদের সিংহভাগ বাম সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে এসেছেন। ৩৪ বছর ধরে এবং তার দ্বারা নিজেদের সমাজে বুদ্ধিজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কোনো জাদুবলে হঠাৎ তাদের মেরুদণ্ড গজিয়েছিল নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুরের সময়ে? উত্তর একটাই, তা হলো ‘আখির পয়সা বোলতা হ্যায়’।
এবার একটু মনে করুন জর্জ সোরোস কী বলেছেন। তিনি বলেছেন এক বিলিয়ান ডলার তিনি ইনভেস্ট করবেন ভারতে জাতীয়তাবাদের উত্থানকে প্রতিহত করার জন্য। তার একটা বড়ো অংশ ব্যয় করা হবে এই বুদ্ধিজীবীদের ব্যাকিং দেওয়ার জন্য। কীভাবে ব্যাকিং দেওয়া হবে? কখনও সরাসরি টাকা দেওয়া হবে। আবার কখনও ম্যাগসাইসাই বা বুকার পাইয়ে দেওয়া হবে এবং তাদের সমাজে বুদ্ধিজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। একই ভাবে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময়েও তাদের নানা ভাবে পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং তার পরিবর্তেই তারা নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন।
নন্দীগ্রাম আন্দোলনে বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে সঙ্গেই লক্ষ্য করার মতো উপস্থিতি ছিল বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলির। এবার আপনাদের আরও একটি তথ্য জানাই। জর্জ সোরোস বিশ্বের সব থেকে বড়ো ফিলানথ্রপিস্টদের মধ্যে একজন। সারা পৃথিবী জুড়ে বেশিরভাগ বড়ো বড়ো এনজিও যেমন গ্রিন পিস বা পেটা এনার অর্থানুকূল্য পেয়ে থাকে। এবার চেইনটা বোঝা গেল? জর্জ সোরোস পয়সা ঢালবেন গ্রিন পিস বা পেটার মতো বড়ো বড়ো সংস্থাগুলোতে। যেগুলো নামেই এনজিও। আদতে এরা সবাই বিশাল কর্পোরেট সংস্থা। এরা আবার সেই টাকা নানাভাবে ডিস্ট্রিবিউট করে দেবে মাঝারি এবং ছোটো এনজিওগুলোর মধ্যে এবং গড়ে উঠবে একটা নেটওয়ার্ক। যে নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে সামাজিক আন্দোলনের নামে কখনও বন্ধ করে দেওয়া হবে কলকারখানা আবার কখনও গরিব চাষিকে ঠকিয়ে গড়ে উঠবে কলকারখানা। অর্থাৎ ইনভেস্টরের স্বার্থ বজায় রাখতে যা যা করা দরকার তা এরা করবে।
মনে হতেই পারে ধান ভানতে শিবের গীত গাইছি। কোথায় হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল আর কোথায় জর্জ সোরোস আর কোথায় নন্দীগ্রাম। যতসব আবোল তাবোল কথা। আপাতভাবে দেখলে তাই মনে হবে। কিন্তু ওই যে শুরুতেই বলেছি খবরের পেছনেও খবর থাকে। এবার আসি সেই পেছনের খবরের কথায়। হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালের অন্যতম অংশীদার ছিল চ্যাটার্জি গ্রুপ। চ্যাটার্জি গ্রুপের অন্যতম ইনভেস্টার বা বিনিয়োগকারী জর্জ সোরোসের সোরোস গ্রুপ। চ্যাটার্জি গ্রুপের মূল শর্ত ছিল যদি এই প্রকল্পের কোনো পার্টনার কখনও তার শেয়ার ছেড়ে দেয়। তাহলে প্রথমে বাকি অংশীদারদের কাছে প্রস্তাব দিতে হবে। তারা যদি কিনতে অপারগ হয় তবেই এক মাত্র বাইরের কাউকে এই শেয়ার বিক্রি করা যেতে পারে।
এই নির্দিষ্ট শর্তটি নিয়েই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জমানায় চ্যাটার্জি গ্রুপের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের টালবাহানা শুরু হয়। চ্যাটার্জি গ্রুপ তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য সংস্থার পুরো নিয়ন্ত্রণ চায়। কারণ ভারতে এবং বিশ্বের বাজারে প্লাস্টিক প্যাকেজিং-এর চাহিদা তখন বাড়ছে। দ্রুতহারে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণের নানা জটিলতার কারণে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল তাদের ব্যবসা সেই অনুপাতে বাড়াতে পারছে না। রিল্যায়েন্স যদিও প্লাস্টিক প্যাকেজিং কাচামালের সব থেকে বড়ো উৎপাদক কিন্তু তাদের ব্যবসার বেশিরভাগটাই ভারতের বাইরে। ভারতে এই মার্কেটে এখন সব থেকে বেশি ব্যবসা করে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল। তাই সেই সময়ে একদিকে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নানা জটিলতা অপরদিকে শিল্পের জন্য বুদ্ধবাবু নন্দীগ্রামে জমি দিতে চাইছেন সেলিম গ্রুপকে পেট্রোকেমিক্যাল হাব খোলার জন্য। যারা ভারতের এই বাজার ধরতে বিশাল টাকার বিনিয়োগ করতে চায়।
এই সময় তাই ব্যবসায়িক স্বার্থেই চ্যাটার্জি গ্রুপের হলদিয়া পেট্রোকেমকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেওয়া দরকার ছিল এবং তারা চাইছিল না সেলিম গ্রুপ তাদের পেট্রোকেম হাব স্থাপন করুক। সেই কারণেই এনজিও সংস্থাগুলির মাধ্যমে আন্দোলন শুরু করানো হয়।
চ্যাটার্জি গ্রুপ এই আন্দোলনকে অক্সিজেন দিতে মমতার সমর্থনে বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী এবং এনজিওগুলোকে প্রভাবিত করে আন্দোলনে নামায়। যার ফলশ্রুতিতে বাম সরকারের পতন এবং মমতা ব্যানার্জির ‘অষ্টম বাম’সরকার গঠন। এই পালা বদলের পরেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার হলদিয়া পেট্রোকেমে তাদের অংশীদারিত্ব চ্যাটার্জিগ্রুপকে বিক্রি করে দেয় এবং চ্যাটার্জি গ্রুপ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়। বলা বাহুল্য এতে অবশ্যই সোরোস গ্রুপ যারা কিনা চ্যাটার্জি গ্রুপে অন্যতম বিনিয়োগকারী ছিল তাদেরও স্বার্থ রক্ষা হয়।
একই সময়ে আরও একটি ঘটনা ঘটেছিল। তা হলো মনমোহন সিংহের সেই সময় করা আমেরিকার সঙ্গে নিউক্লিয়ার ডিল। এই ডিলটি অবশ্যই চায়নার স্বার্থের পরিপন্থী ছিল এবং সেই কারণে ভারতে চীনের সেই সময়ের সব থেকে বড়ো বন্ধু কমিউনিস্টরা এর বিরোধিতা করে। এই বিরোধেও জর্জ সোরোসের স্বার্থহানির কারণ ঘটেছিল।
ভারতে বিভিন্ন পরমাণু প্রকল্পে ব্যবহৃত ইউরেনিয়ামের বেশিরভাগটাই আসে বাইরে থেকে। জর্জ সোরোসের বিনিয়োগের একটা বড়ো অংশ যায় ইউরেনিয়াম ট্রেডিং-এ। ক্যামেকো কর্পোরেশান, যা কিনা বিশ্বের সব থেকে বড়ো ইউরেনিয়াম ট্রেডার, তাতে সোরোস গ্রুপের একটা মোটা বিনিয়োগ আছে। স্বাভাবিক ভাবেই ভারত আমেরিকার মধ্যে নিউক্লিয়ার ডিল হলে ক্যামেকো কর্পোরেশান সেখান থেকে বেশ মোটা টাকার ব্যবসা পাবে। এমতাবস্থায় বামেরা এই নিউক্লিয়ার ডিলের বিরোধ শুরু করলে তা সোরোস গ্রুপের ব্যবসার পক্ষে ভালো নয়। তাই এই সমস্যা দূরীকরণে সংসদীয় বামেদের শক্তিহীন করাটা জরুরি ছিল সেই সময়ে। আর সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে বামেদের পতন ঘটানো জরুরি ছিল।
সেই সময়ে সংসদে বামেদের যে ৬১টি আসন ছিল তার বেশিরভাগটাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রাপ্ত। কেরলেও বামেরা শক্তিশালী কিন্তু সেখানে তাদের পশ্চিমবঙ্গের মতো একচ্ছত্র আধিপত্য নেই। সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে বামেদের পতন জরুরি ছিল। তাই নন্দীগ্রাম থেকে যা শুরু হয়েছিল তা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে সিঙ্গুর এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য অংশে। জায়গায় জায়গায় গড়ে ওঠে জমিরক্ষা কমিটি। ধাক্কা খায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের যাবতীয় শিল্পোদ্যোগ। এই পরিকল্পনা সফল করতে বিশেষ বেগও পেতে হয়নি সোরোসদের। অনিল বিশ্বাসের পর সিপিএমের নিয়ন্ত্রণ তখন বিমান, বিনয়দের হাতে। তারা ভাবলেন মরিচঝাপি, বিজন সেতু ট্রিটমেন্ট দিয়েই তারা সব ঠাণ্ডা করে দেবেন। কিন্তু তারা এটা বুঝলেন না মানুষ অনেকদিন আগে থেকেই সিপিএমের ঔদ্ধত্য, লোকাল কমিটির অত্যাচারে বিরক্ত, ক্রুদ্ধ। এমতাবস্থায় তারা একটি বিকল্প শক্তির সন্ধানে আছে। সেই বিকল্প শক্তির সন্ধান দেওয়া হলো মানুষকে মমতা ব্যানার্জির উত্থান ঘটিয়ে। অনেকে হয়তো বলবেন মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতার ইতিহাস অনেক পুরনো। সেটি অবশ্যই ঠিক কথা। কিন্তু একথাও অনস্বীকার্য সেই সময়ে এক বিশাল সংখ্যক বুদ্ধিজীবী, এনজিও এবং অতিবাম সংগঠনগুলির সমর্থন না পেলে মমতা ব্যানার্জির পক্ষে সিপিএমকে সরানো সম্ভব হতো না। ২০০১-এর বিধানসভা ভোট তার সাক্ষী।
সোরোসের এই এনজিও নেটওয়ার্ক মোদী জমানায় কীভাবে ধাক্কা খেয়েছে তা বোঝানোর জন্য একটি উদাহরণ দেব। ভারতবর্ষের অন্যতম বড়ো এনজিও ছিল কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশানাল। আমেরিকার কোলারাডোর এই খ্রিস্টান চ্যারিটি সংস্থাটির অন্যতম ডোনার জর্জ সোরোস। নরেন্দ্র মোদী সরকার এনজিওগুলিতে বিদেশি অর্থ বিনিয়োগ। নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করার পর এই সংস্থাটি ভারতে তাদের কার্যকলাপ বন্ধ করে।
ভারতে সোরোসদের ব্যবসা কী? উত্তর হলো কোনো একটি নয়। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের বিনিয়োগ আছে। অনিল আম্বানীর এন্টারটেইনমেন্ট সংস্থা রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্টে তারা প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে ২০০৮ সালে। এবার তাহলে বোঝা গেল প্রথম লাইনে কেন দীপিকা পাড়ুকোনের উল্লেখ করা হয়েছে আর কেনই বা দীপিকা পাড়ুকোন জেএনইউতে গেছিলেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউইয়র্ক টাইমসের মতো কাগজেও সোরোসের বিনিয়োগ আছে। আশা করি আপনাদের সবারই মনে আছে এই সেই বিখ্যাত হেডিং, “ডিভাইডার ইন চিফ’। যাতে কিনা একটি গণতান্ত্রিক দেশের গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কালিমালিপ্ত করার প্রবল প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। জর্জ সোরোস সারা বিশ্বের প্রায় ৩০টি প্রথম সারির মিডিয়া হাউসে বিনিয়োগ করেছেন। এছাড়াও ভারতে রিয়াল এস্টেট, লজিস্টিকস ক্ষেত্রেও সোরোস গ্রুপের বিনিয়োগ আছে। একটা মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ আছে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে। রাজনীতিতে নাক গলানোর অভ্যেসটি অবশ্য সোরোসের নতুন নয়। এর আগে ২০০৪ সালে জর্জ বুশকে হারানোর জন্য লিববালপন্থী এই ব্যবসায়ী প্রায় ২৭ মিলিয়ন ডলার লাগিয়েছিলেন। সোমালিয়া, কসোভোতে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগও আছে। তার বিরুদ্ধে। এমনকী তার নিজের দেশ হাঙ্গেরি থেকেও তিনি এইসব কারণে বিতাড়িত। সেখানে তার ইউনিভার্সিটি, ব্যবসা সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জর্জ সোরোস বামেদের বিশেষ অক্সিজেন জোগাবেন না। কারণ তিনি জানেন সেটা ব্যাড ইনভেস্টমেন্ট। তিনি তাই ভরসা রাখছেন। শরজিল ইমামদের উপরে। যারা ক্রমাগত সংখ্যা বাড়িয়ে এই দেশের রাজনীতি, সমাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় এবং জর্জ সোরোস চান সেই রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভারতের মতো একটি বৃহৎ বাজারের অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ। তাই আজ ‘মানতাবাদী’ জর্জ সোরোস সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন।
দীপ্তাস্য যশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.