বেআইনি জমায়েত, দাঙ্গাহাঙ্গামা, ধর্নামঞ্চে উপস্থিত মহিলাদের বিরুদ্ধে ক্রিমিন্যাল কেস

গত শুক্রবার রাত থেকে লখনউয়ের ঘড়ির মোড়ে শুরু হয়েছে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী ধর্না। সেখানে আছেন মূলত মহিলারা। বিখ্যাত উর্দু কবি মুনাওয়ার রানার দুই মেয়ে সুমাইয়া রানা ও ফৌজিয়া রানাও আছেন ধর্নামঞ্চে। তাঁদের মধ্যে অন্তত এক ডজন মহিলার বিরুদ্ধে বেআইনি জমায়েত, দাঙ্গাহাঙ্গামার অভিযোগে মামলা করেছে লখনউ পুলিশ।

শুক্রবার রাতে লখনউতে প্রথমে ৫০ জন মহিলা ধর্না শুরু করেন। ক্রমশ সেখানে আরও অনেকে যোগ দিতে থাকেন। পরে দেখা যায়, কয়েক হাজার মহিলা উপস্থিত হয়েছেন। অনেকের সঙ্গে তাঁদের শিশু সন্তানরাও ছিলেন। পুলিশের অভিযোগ, ধর্নামঞ্চে উপস্থিতদের মধ্যে অন্তত ১০০ জন সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছেন। সরকারি কর্মীদের কাজ করতে বাধা দিয়েছেন। পুলিশের এক মহিলা কনস্টেবল বলেন, বিক্ষোভকারীদের অনেকে তাঁর চুলের মুঠি ধরে টেনেছেন। তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধেই দাঙ্গাহাঙ্গামা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগ, শনিবার রাতে পুলিশ ঘড়ির মোড়ে ধর্নামঞ্চে হানা দেয়। অবস্থানকারীদের খাবার ও কম্বল কেড়ে নিয়ে যায়। লখনউ পুলিশ অবশ্য বিবৃতি দিয়ে বলেছে, এসব মিথ্যা কথা। জনসাধারণের উদ্দেশে আহ্বান জানানো হয়েছে, গুজব ছড়াবেন না।

ঘড়ির মোড়ের জমায়েত থেকে কেউ ভাঙচুর বা মারপিট করেছে বলে কখনও শোনা যায়নি। গত মাসে লখনউতে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে সমাজকর্মী সাদাফ জাফর সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও অন্যান্য অভিযোগ আনা হয়েছিল। পরে পুলিশ আদালতে জানায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ নেই।

গত এক মাসে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তরপ্রদেশে মারা গিয়েছেন ২১ জন। আর কোনও রাজ্যে এত জন বিক্ষোভকারী মারা যাননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.