এনুমারেশন ফর্ম বিলির ক্ষেত্রে রাজ্যের অন্য জেলাগুলির তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে রাজধানী কলকাতা। মঙ্গলবার কলকাতায় কমিশনের প্রতিনিধিদল জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে দ্রুত কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।
রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর কাজ পর্যালোচনার ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী দফতরের আধিকারিক (সিইও), উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতার ডিইও (জেলা নির্বাচনী আধিকারিক) এবং ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (‘নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক’ বা ইআরও)-রা। শহর কলকাতায় এসআইআরের কাজের গতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে প্রতিনিধিদল। তারা ডিইও, ইআরও-দের সময় বেঁধে দিয়েছে
কমিশনের প্রতিনিধিদল জানিয়েছে, বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-দের নির্দেশ দেওয়া হোক যে আগামী ২৬ নভেম্বরের মধ্যে এনুমারেশন ফর্ম বিলি শেষ করতেই হবে। সংগ্রহের কাজও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএলও-দের কাজে সাহায্য করতে হবে ইআরও, এইআরও, বিএলও সুপারভাইজারদের। কমিশন সূত্রে খবর, কলকাতার অনেক এলাকায় এনুমারেশন ফর্ম বিলি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন বিএলও-রা। অনেকের নাম, ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার কমিশনের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এনুমারেশন ফর্ম বিলি, তার পরে সংগ্রহ এবং পরে বিএলও অ্যাপে আপলোড করায় রাজ্যের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। কমিশনের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ৭ কোটি ৬৩ লক্ষ ৬৩ হাজারের বেশি এনুমারেশন ফর্ম বিলি শেষ হয়েছে। যা ৯৯ শতাংশেরও বেশি। বিএলও অ্যাপে আপলোড হয়েছে প্রায় ৬ কোটি ভোটারের নাম। প্রসঙ্গত, কমিশনের আগেকার নির্দেশ অনুযায়ী তালিকা সংশোধনের কাজ ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে বিএলও-দের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ‘এনুমারেশন’ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ সেরে ফেলতে হবে। ভোটার তালিকা সংশোধনের সময়ে ম্যাপিংয়ে যাঁদের মিল থাকবে না, তাঁদের নোটিস দিয়ে নথি চাইবে কমিশন। যে নথি যাচাইয়ের দায়িত্বে থাকবেন ইআরও এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (এইআরও)। কোনও ব্যক্তির নাম শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত তালিকায় থাকবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন ইআরও এবং এইআরও।

