অসমের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শেষে সুবিধাজনক জায়গায় বাংলা। অসমের প্রথম ইনিংস ২০০ রানে শেষ হয় সোমবার সকালে। জবাবে বাংলার রান ৪ উইকেটে ২৬৭। বড় অঘটন না ঘটলে এই ম্যাচ থেকে অভিমন্যু ঈশ্বরণদের ৩ পয়েন্ট পাওয়া নিশ্চিত। সরাসরি জয়ের সুযোগও রয়েছে লক্ষ্মীরতন শুক্লর দলের হাতে।
কল্যাণীর ২২ গজে বাংলার কোনও ব্যাটার বড় রান করতে না পারলেও প্রয়োজনীয় জুটি তৈরি হয়েছে। ওপেনার সুদীপ কুমার ঘরামি (২) ব্যর্থ হলেও বাকি ব্যাটারেরা পিচে থাকার চেষ্টা করেছেন। অধিনায়ক ঈশ্বরণের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৬ রানের ইনিংস। ৮টি চার মেরেছেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে শাকির হাবিব গান্ধীর সঙ্গে ১২৭ রানের জুটি তৈরি করেন ঈশ্বরণ। তাঁদের এই জুটি বাংলার ইনিংসের ভিত শক্ত করে দেয়। হাবিব করেছেন ৫৮। চার নম্বরে নেমে ভাল ব্যাট করেছেন অনুষ্টুপ মজুমদারও। তবে অর্ধশতরান হাতছাড়া করলেন অনুষ্টুপ। বাংলার অভিজ্ঞ ব্যাটার খেললেন ৪৩ রানের ইনিংস। বাংলাকে ভরসা দিলেন শাহবাজ় আহমেদও। দিনের শেষে তিনি অপরাজিত রয়েছেন ৬১ রানে। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৬টি চার এবং ২টি ছক্কা। তাঁর সঙ্গে ২২ গজে রয়েছেন সুমন্ত গুপ্ত। তিনি করেছেন ২৫। অসমের সফলতম বোলার আকাশ সেনগুপ্ত ৫০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।
দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলা এগিয়ে ৬৭ রানে। মঙ্গলবার ম্যাচের তৃতীয় দিন বড় রান তুলে অসমকে চাপে ফেলাই থাকবে ঈশ্বরণদের লক্ষ্য। তেমন হলে সরাসরি জয়ের পাশাপাশি বোনাস পয়েন্টও পেতে পারে বাংলা। মঙ্গলবার ম্যাচের তৃতীয় দিন সেই লক্ষ্যে ঝাঁপাতে পারেন বাংলার ক্রিকেটারেরা।
প্রথম দিনের শেষে অসমের রান ছিল ৮ উইকেটে ১৯৪। সোমবার সকালে ৬ রানের বেশি করতে পারেননি অসমের ব্যাটারেরা। প্রথম দিন ৪৮ রানে অপরাজিত থাকা অধিনায়ক সুমিত ঘড়িগাঁওকরকে (৫৩) আউট করেন মহম্মদ শামি। তাঁর এই উইকেটেই শেষ হয় অসমের ইনিংস। আর এক অপরাজিত ব্যাটার মুক্তার হাসান (৯) প্রথমেই ফিরে যান রানআউট হয়ে।
অসমের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে শামি ৩ উইকেট পেলেন ৬৪ রান খরচ করে। সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ৩০ রানে ২ উইকেট মহম্মদ কাইফের। ৩৯ রানে ১ উইকেট ঈশান পোড়েলের।

