হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ‘উপযুক্ত জবাব’ দিতে ইজ়রায়েলের সেনাবাহিনীকে তাঁর নির্দেশ, এই মুহূর্তেই গাজ়াতে জোরদার আক্রমণ হানা হোক। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৫১ মিনিট নাগাদ ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রীর এক্স হ্যান্ডল থেকেও এই নির্দেশ পোস্ট করা হয়েছে।
ইজ়রায়েলের সেনাবাহিনীর দাবি, রাফা অঞ্চলে ইজ়রায়েলের সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল হামাস। তার ‘জবাব’ দিয়েছে ইজ়রায়েল। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরে এ বার শুধু সময়ের অপেক্ষা গাজা উপত্যকায় পুনরায় ইজ়রায়েলবাহিনীর আক্রমণের।
অন্য দিকে, চুক্তি মতো বন্দিদের মৃতদেহ ফেরানো নিয়েও পরস্পর পরস্পরের দিকে আঙুল তুলেছে। মঙ্গলবার বন্দি এক জনের দেহাবশেষ হামাস ফিরিয়েছিল ইজ়রায়েলকে। তবে নেতানিয়াহুর নির্দেশের পরে হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আরও এক বন্দির মৃতদেহ হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত তারা আপাতত স্থগিত করছে। হামাসের ‘এজ্জেদিন-আল-কাসেম’ ব্রিগেডের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, যে কোনও ধরনের উত্তেজনার ফলে মৃতদেহ খোঁজা ও উদ্ধারের কাজ ব্যাহত হবে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, ২৮ জন মৃতের মধ্যে ইজ়রায়েলকে হামাস ফিরিয়ে দিয়েছিল ১৬ জনের দেহাবশেষ। তবে ফরেনসিক পরীক্ষার পরে ইজ়রায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমস্ত দেহাবশেষ ওফির জ়ারফাতি নামের এক জনের, যাঁর মৃতদেহ দু’বছর আগেই হামাস পাঠিয়েছিল।
গাজ়া উপত্যকায় প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের নির্দেশ প্রসঙ্গে ইজ়রায়েলের মুখপাত্র শাশ বেদ্রোসেন সংবাদিকদের জানিয়েছেন, যা কিছু করা হচ্ছে সবই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সমন্বয় রেখে। তাঁর দাবি, সোমবার মাটি খুঁড়ে জ়ারফাতির দেহাবশেষ রেখে মঙ্গলবার খনন চালিয়ে সেই দেহাবশেষই ‘উদ্ধার’ দেখিয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইজ়রায়েলের বাসিন্দা যাঁরা বন্দি ও নিখোঁজ এই সমস্ত পরিবারের সংগঠন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই নিয়ে ওফিরের কবর তিনবার খুঁড়ে দেহাবশেষ রেখে তার পরে আবার কবর দিতে হয়েছে।
ইজ়রায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে এক্স হ্যান্ডল থেকে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ওই ভিডিয়ো বন্দি নিয়ে হামাসের মিথ্যাচারের প্রমাণ। লেখা হয়েছে, একই মৃতদেহের দেহাংশকেই আবার কবর দেওয়া হয়েছিল। তার পরে রেডক্রশের প্রতিনিধিদের ডেকে তা দেখানো হয়েছিল।

