বাবা-মা ছেলেকে নিজেদের বাড়ি থেকে বার করে দিলেও পুত্রবধূকে ওই বাড়ি থেকে বার করে দিতে পারেন না। সম্প্রতি এক মামলায় এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। কেন পুত্রবধূকে বার করে দেওয়া যায় না, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছে আদালত।
দিল্লি হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, কোনও মহিলা বিয়ের পরে যে বাড়িতে শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যদের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন, সেখানে বাস করতে পারা তাঁর অধিকার। গার্হস্থ্য হিংসা আইন অনুসারে ওই বাড়িটি বধূর ‘শেয়ার্ড হাউসহোল্ড’ বলে বিবেচিত হয়। তাই, শ্বশুর-শাশুড়ি নিজেদের বাড়ি থেকে সন্তানকে বার করে দিলেও পুত্রবধূকে সেই বাড়ি থেকে বার করতে পারেন না।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে এই মামলা চলছে বধূর। ২০১০ সালে তাঁর বিয়ে হয়। তার পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই বাকিদের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু বিয়ের এক বছর পর থেকে বিভিন্ন অশান্তি শুরু হয়। সন্তানকে বাড়ি থেকে বার করে দেন বাবা-মা। ওই সময়ে তাঁদের সন্তান এবং পুত্রবধূ একটি ভাড়া বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। পরে বধূ আদালতে দাবি করেন, তাঁকে জোর করে ওই বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি তাঁর জিনিসপত্রও বাড়ির বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
প্রথমে পারিবারিক আদালতে মামলাটি চলছিল। পরে সেই মামলা গড়ায় দিল্লি হাই কোর্টে। শাশুড়ির দাবি, ওই বাড়িটি তাঁর প্রয়াত স্বামীর। তাই সেখানে থাকতে পারবেন না পুত্র বা পুত্রবধূ। বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার বেঞ্চে সম্প্রতি ওই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে শাশুড়ির আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ওই বাড়িতে থাকার অধিকার রয়েছে স্ত্রীর। আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া চাইলেই তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দেওযা যাবে না। ছেলেকে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া মানেই পুত্রবধূকেও বার করে দেওয়া যায় না।