অস্ট্রেলিয়া সফরে এক দিনের দলে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি ফিরলেও নেওয়া হয়নি রবীন্দ্র জাডেজাকে। নির্বাচকেরা যুক্তি দিয়েছিলেন, আরও এক জন বাঁ হাতি স্পিনার নিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী নন তাঁরা। তবে দিল্লি টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সেই জাডেজা জানিয়ে দিলেন, তিনি দু’বছর পর এক দিনের বিশ্বকাপে খেলতে চান। ‘অসম্পূর্ণ কাজ’ শেষ করাই লক্ষ্য তাঁর।
সাংবাদিক বৈঠকে জাডেজা বলেছেন, “আমার উপর বিষয়টা নেই। তবে ২০২৭-এর বিশ্বকাপ খেলতে চাই। দল পরিচালন সমিতি, নির্বাচকেরা নিশ্চয়ই কিছু ভেবেছেন। তাই অস্ট্রেলিয়া সফরে জায়গা পাইনি।” প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর জানিয়েছিলেন, অক্ষর পটেল দলে এমনিতেই আছেন। তাই আর এক জন বাঁ হাতি স্পিনার হিসাবে জাডেজাকে নিয়ে যাওয়া যুক্তিসঙ্গত মনে হচ্ছে না তাঁদের।
বাদ দিলেও জাডেজা জানিয়েছেন, তাঁকে সে কথা স্পষ্ট ভাবে বলে দেওয়া হয়েছিল। অলরাউন্ডারের কথায়, “কিছু কারণ তো ছিলই। ওঁরা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। দল ঘোষণার পর নিজের নাম দেখতে না পেয়ে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম এটা মোটেই বলা যাবে না। অধিনায়ক, নির্বাচক এবং কোচ আমার সঙ্গে কথা বলে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে তাঁরা কী ভাবছেন এবং কী কী কারণ রয়েছে সেই ভাবনার পিছনে। তাই আমি খুশি। সুযোগ পেলেই ভাল খেলার চেষ্টা করব।”
জাডেজার মতে, বিশ্বকাপের আগে কতগুলি ম্যাচ খেলতে পারছেন তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে। এখন না খেললেও অসুবিধা হবে না। তাঁর কথায়, “যদি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাই, তা হলে প্রতিযোগিতার আগে ক’টা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছি সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। ওই ম্যাচগুলোয় ভাল খেললে আমার জন্যই সেটা ভাল। গত বার কাছাকাছি এসেও ট্রফি জিততে পারিনি। তাই একটা কাজ বাকি পড়ে আছে।”
চলতি সিরিজ়ে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে জাডেজাকে। তিনি জানালেন, অধিনায়ক হওয়ার আশা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছেন। এখন তিনি তরুণদের পরামর্শ দিতেই পছন্দ করেন। জাডেজার কথায়, “আমি সব সময় দলের জন্য আছি। কোনও তরুণ ক্রিকেটার যখন খুশি এসে কথা বলতে পারে। কুলদীপ এসে মাঝেমাঝেই জিজ্ঞাসা করে। আমি ওকে নিজের ভাবনা বলি। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে যশস্বী পরামর্শ চায়। আমি ওকে পরামর্শ দিই যে কী ভাবে পরিস্থিতির কথা ভেবে মানসিকতা ঠিক রাখতে হবে। নেতৃত্ব নিয়ে ভাবিইনি। নিজের কাজটা ঠিকঠাক করে বাড়ি ফিরতে পারলেই খুশি।”