ওড়িশার চিলকা হ্রদে তখন পর্যটকদের ভিড়। আচমকাই হ্রদের উপর দেখা দেয় টর্নেডো। প্রথমে অনেকেই বুঝতে পারেননি। যখন বুঝতে পারেন, তখন আর্তনাদ করতে শুরু করেন পর্যটকেরা। অনেকে প্রাণভয়ে ছুটোছুটি শুরু করে দেন। ওড়িশার আবহবিদেরা বলছেন, চিলকা হ্রদের উপরে এর আগেও টর্নেডো হয়েছে। শুক্রবার চিলকার কালিজাই মন্দিরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে দেখা গিয়েছিল সেই টর্নেডো।
টর্নেডো মিলিয়ে যাওয়ার আগে বহু পর্যটক সেই ভিডিয়ো তুলেছেন। সে সব ভিডিয়ো এখন সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (আনন্দবাজার ডট কম তার সত্যতা যাচাই করেনি)। ওড়িশার আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়েছিল সেই টর্নেডো বা ঘূর্ণায়মান ঝড়। স্থানীয় ভাষায় তাকে বলে ‘হাতিসুন্ধ’ (হাতির শুঁড়)। বায়ুচাপের তারতম্য ঘটলে তৈরি হয় এই টর্নেডো। উষ্ণ ও আর্দ্র্র বাতাসের সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসের সংঘর্ষে এর উৎপত্তি হয়।
ওড়িশার আবহবিদ বিশ্বজিৎ সাহু জানিয়েছেন, সাধারণ বড় জলভাগের উপরেই এই টর্নেডো দেখা যায়। কানাডা, আমেরিকায় সাগরের উপরে মাঝেমধ্যে এর দেখা মেলে। তিনি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ভারতে এই টর্নেডো বিরল। গত কয়েক বছরে বঙ্গোপসাগরে, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে এটি দেখা গিয়েছে। ওড়িশায় এ রকম কমই হয়।’’ তবে চিলকায় এই প্রথম টর্নেডো হয়নি। ২০১৮ এবং ২০১৯ সালেও হয়েছিল।