টানা তিনটি ম্যাচ জিতে মহিলাদের বিশ্বকাপে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে গেল ইংল্যান্ড। শনিবার তারা কলম্বোয় ৮৯ রানে হারিয়ে দিল শ্রীলঙ্কাকে। ব্যাটিং এবং বোলিং, দুই বিভাগেই ভাল খেলেছে ইংল্যান্ড। যোগ্য দল হিসাবেই জিতেছে তারা। শতরান করে ম্যাচের সেরা ন্যাট শিভার-ব্রান্ট। বল হাতে চার উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড ভেঙেছেন সোফি একলেস্টোন। আগে ব্যাট করে ২৫৩/৯ তুলেছিল ইংল্যান্ড। জবাবে ১৬৪ রানে শেষ শ্রীলঙ্কা।
এ দিন শ্রীলঙ্কা টসে জিতে আগে বোলিং নেয়। ইংল্যান্ডের শুরুটা ধীরগতিতেই হয়। দেখেশুনে খেলে রান তুলছিল তারা। তবে পাওয়ার প্লে-র মধ্যে দু’টি উইকেট হারানোর পরে তাদের রানের গতি কমে যায়। অ্যামি জোন্স (১১) এবং ট্যামি বিউমন্ট (৩২) ফিরে যান দলের পঞ্চাশ পেরনোর আগেই। শিভার-ব্রান্টের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়েন হিদার নাইট (২৯)।
শ্রীলঙ্কা এক দিক থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট ফেললেও অধিনায়ক শিভার-ব্রান্টকে টলাতে পারেনি তারা। নাইটের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি ছাড়াও সোফিয়া ডাঙ্কলে (১৮), এমা ল্যাম্ব (১৩) এবং চার্লি ডিনের (১৯) সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়েন। শেষ পর্যন্ত ৯টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে ১১৭ বলে ১১৭ রান করে ফিরে যান শিভার-ব্রান্ট। বিশ্বকাপে পাঁচটি শতরান হল তাঁর। এক দিনের ক্রিকেটে মোট ১০টি শতরান করলেন। তিন রানের মাথায় তাঁর ক্যাচ ফেলেন প্রবোধানি। দিনের শেষে যা শ্রীলঙ্কার হারের অন্যতম কারণ হয়ে থাকল। শ্রীলঙ্কার হয়ে সফলতম বোলার ইনোকা রণবীরা (৩/৩৩)।
চলতি প্রতিযোগিতায় ইংল্যান্ডের স্পিনারেরা ভাল বল করেছেন। তাই কলম্বোর মন্থরগতির পিচে শ্রীলঙ্কার কাজ যে সহজ হবে না সেটা বোঝাই গিয়েছিল। তাই হয়েছে। শ্রীলঙ্কা চেষ্টা করছিল খুচরো রান নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রাখতে। কিন্তু ১৯তম ওভারে একলেস্টোন আসতেই সব বদলে যায়। একের পর এক শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের ফেরাতে থাকেন তিনি। এক সময় তাঁর বোলিং ফিগার ছিল ৭ ওভার, ৩ মেডেন, ৬ রান এবং ৪ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ১০ ওভার বল করে ১৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ২টি করে উইকেট শিভার-ব্রান্ট এবং চার্লি ডিনের। শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রান ওপেনার হাসিনি পেরেরার (৩৫)।