শতরানে বিশ্বরেকর্ড ব্রিটসের, বিশ্বকাপে নিউ জ়িল্যান্ডকে হারিয়ে ভারতকে বার্তা দিল দক্ষিণ আফ্রিকা, চর্চা প্রোটিয়া ফিল্ডারের ক্যাচ নিয়ে

প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে মাত্র ৬৯ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। হেরেছিল ১০ উইকেটে। যে কোনও দলের মনোবল নষ্ট করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে প্রত্যাবর্তন দক্ষিণ আফ্রিকার। ইনদওরে নিউ জ়‌িল্যান্ডকে দাপটের সঙ্গে হারাল তারা। বিশ্বরেকর্ড গড়ে শতরান করলেন তাজ়মিন ব্রিটস। পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা খেলবে ভারতের সঙ্গে। এ দিনের দাপুটে পারফরম্যান্সে হরমনপ্রীত কৌরদেরও বার্তা দিয়ে রাখল তারা। ম্যাচে লরা উলভার্টের একটি ক্যাচ নিয়েও চর্চা হচ্ছে।

টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিল নিউ জ়িল্যান্ড। শুরুটা খুবই খারাপ হয়। এ দিনই ৩৫০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন সুজি বেটস। প্রথম বলেই ফিরে যান তিনি। ধাক্কা কিছুটা সামাল দেন জর্জিয়া প্লিমার (৩১) এবং অ্যামেলিয়া কের (২৩)। অ্যামেলিয়া ফেরার পর জর্জিয়ার সঙ্গে জুটি গড়েন সোফি ডিভাইন, যিনি এ দিন ৩০০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন।

ডিভাইন যথেষ্ট আগ্রাসী খেলতে থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকা যে চাপ তৈরি করেছিল সেটা কাটিয়ে দিতে থাকেন তিনি। জর্জিয়া ফেরার পর জুটি গড়েন ব্রুক হ্যালিডের (৪৫) সঙ্গে। শতরানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ডিভাইন। তবে ৮৫ রানের মাথায় আউট হন। নিউ জ়িল্যান্ডের পরের দিকের ব্যাটারেরা কেউ সাফল্য পাননি। ১৩ বল বাকি থাকতে ২৩১ রানে ইনিংস শেষ হয়ে যায় তাদের। দক্ষিণ আফ্রিকার নোনকুলুলেকো এমলাবা ৪০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন।

চর্চা হচ্ছে উলভার্টের একটি ক্যাচ নিয়ে। অনেকেই এটিকে ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপের সেরা ক্যাচ বলা শুরু করে দিয়েছেন। নিউ জ়‌িল্যান্ডের ইনিংসের ৪৭তম ওভারের শেষ বলে ঘটনাটি ঘটে। এমলাবার বলে ড্রাইভ করেছিলেন লিয়া তাহুহু। ডান দিকে শূন্যে উড়ে এক হাতে ক্যাচ ধরেন উলভার্ট। সতীর্থ থেকে ধারাভাষ্যকার, সকলেই অবাক হয়ে যান।

দক্ষিণ আফ্রিকারও ওপেনিং জুটি ভাল হয়নি। ১৪ রানে ফেরেন উলভার্ট। তবে দ্বিতীয় উইকেটে তাজ়মিন এবং সুনে লুসের ১৫৯ রানের জুটি ম্যাচ পুরোপুরি দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে এনে দেয়। তাজ়মিন মাত্র ৮৯ বলে ১০১ করেন। ১৫টি চার এবং ১টি ছয মারেন তিনি। এ দিন বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন তিনি। এক ক্যালেন্ডার বর্ষে তিনি পাঁচটি শতরান করলেন। ভেঙে দিলেন ভারতের স্মৃতি মন্ধানার নজির। প্রথম মহিলা ব্যাটার হিসাবে এই কাজ করে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন তাজ়মিন।

পরের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা পর পর দু’টি উইকেট হারালেও অসুবিধা হয়নি। শেষ পর্যন্ত খেলে দলকে জেতান লুস। ১১৪ বলে ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.