রবিবারের পাকিস্তান ম্যাচকে আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছেন না হরমনপ্রীত, পাক অধিনায়কের মুখে ‘পুরনো সেই দিনের কথা’

রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মেয়েদের এক দিনের বিশ্বকাপে খেলতে নামবে ভারত। তবে এই ম্যাচকে অন্য যে কোনও ম্যাচের মতোই দেখতে চাইছেন ভারতের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কউর। পাকিস্তানের অধিনায়ক ফতিমা সানা পুরনো স্মৃতিতে ডুব দিয়েছেন। এ দিকে, সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের বোলিং কোচ জানালেন, ক্রিকেটারদের শুধু খেলার দিকেই নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা।

এশিয়া কাপের তিনটি ম্যাচেই পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলায়নি ভারতীয় দল। মেয়েদের ম্যাচে তা দেখা যাবে কি না এখনও নিশ্চিত নয়।

সম্প্রচারকারী চ্যানেলে এই ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় ভারতের ক্রিকেটারদের। হরমনপ্রীত বলেন, “আমরা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখেই বড় হয়েছি। সব সময়ে এই ম্যাচের অংশ হতে চেয়েছি। এই ম্যাচকে অন্য যে কোনও ম্যাচের মতোই দেখি। ক্রিকেটেই নজর থাকে আমাদের।”

স্মৃতি মন্ধানার মতে, এই ম্যাচে পরিবেশ যে রকম থাকে তা বাকি সব ম্যাচের থেকে আলাদা। তাঁর কথায়, “ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পরিবেশ সব সময় খুব হাড্ডাহাড্ডি থাকে। স্টেডিয়াম ভর্তি থাকে। সকাল থেকে যাদের সঙ্গে দেখা হয় সকলেই জেতার অনুরোধ করে। এই পরিবেশ নিজের সেরাটা বার করে আনতে সাহায্য করে। আমি এবং সতীর্থেরা সেটা উপভোগ করি।”

দীপ্তি শর্মা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামলে তাঁরা সব সময় সতর্ক থাকেন। অলরাউন্ডারের কথায়, “এই ম্যাচের গুরুত্ব এবং উত্তেজনা বাকি ম্যাচগুলোর থেকে সব সময় আলাদা। আমরা ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি। এই ম্যাচে আমরা সব সময় সতর্ক থাকি।”

ভারতের বোলিং কোচ আবিষ্কার সালভি জানিয়েছেন, ক্রিকেটারদের আবেগ না দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। সালভির কথায়, “ক্রিকেটে নজর দেওয়া সবার আগে দরকার। আমরা চাই মেয়েরা নিজেদের সেরাটা বার করে আনুক। অন্য ম্যাচের মতোই এটাকে দেখছি। বিশ্বকাপ খুব লম্বা। আরও অনেক ম্যাচ রয়েছে।”

পাকিস্তানের অধিনায়ক ফতিমা সানা অবশ্য এতটাও গুরুগম্ভীর হিসাবে দেখছেন না এই ম্যাচ। তিনি পুরনো দিনের বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরেছেন। বলেছেন, “বাকি সব দলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুব ভাল। আমরা সবার সঙ্গেই সম্পর্ক ভাল রাখার চেষ্টা করি। ক্রিকেটীয় সংস্কৃতি সব রকম ভাবে মেনেই খেলার চেষ্টা করব।”

২০২২ বিশ্বকাপে ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তানের তৎকালীন অধিনায়ক বিসমাহ মারুফের ছোট মেয়ের সঙ্গে খেলা করতে দেখা গিয়েছিল স্মৃতি, দীপ্তি, হরমনপ্রীতদের। এ ছাড়া, অনেক সময়ই ক্রিকেটারেরা ম্যাচের পর মাঠে দাঁড়িয়ে একে অপরের সঙ্গে গল্প করেছেন।

সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সানা বলেছেন, “বিসমাহের মেয়েকে ঘিরে সবার একত্র হওয়ার সেই দৃশ্যটা এখনও আমার মনে রয়েছে। অতীতে সেই ছবিটা দেখতে খুব ভাল লাগে। সবাই সেটা উপভোগও করে। তবে আমাদের মনোযোগ থাকবে শুধু খেলাতেই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.