যুদ্ধ থামানো, পণবন্দিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে পথে হাজার হাজার মানুষ, আস্থা হারাচ্ছেন নেতানিয়াহু?

দেশবাসীর আস্থা হারাচ্ছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু? হামাসের হাতে বন্দি ইজ়রায়েলিদের কবে মুক্ত করে আনা হবে, তা নিয়েই দেশের অন্দরে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে নেতানিয়াহুকে। আর এই দাবি তুলেই হাজার হাজার মানুষ ইজ়রায়েলের রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন। শুধু তা-ই নয়, হামাসের সঙ্গে ইজ়রায়েলের যে শান্তিচুক্তির প্রক্রিয়া চলছে, সেই চুক্তিতে যাতে নেতানিয়াহু সায় দিয়ে দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ করার ব্যবস্থা করেন, সেই দাবিও উঠেছে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে।

শনিবার রাজধানী তেল আভিভের রাস্তায় বিক্ষোভমিছিল করেন কয়েক হাজার মানুষ। তাঁরা নেতানিয়াহুকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এর আগেও নেতানিয়াহু ইজ়রায়েলি পণবন্দিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেননি বলেই দাবি তাঁদের। তাই হামাসের সঙ্গে কী সমঝোতা হয়, এখন সে দিকেই তাকিয়ে ইজ়রায়েলিরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীদের অনেকেই দাবি করেছেন, নেতানিয়াহুর চেয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপরই এখন তাঁদের ভরসা এবং আস্থা বেশি। বিক্ষোভকারীদের কথায়, ‘‘আমরা ইজ়রায়েলি পণবন্দিদের নিয়ে খুব উদ্বেগে রয়েছি। যুদ্ধ বন্ধ হোক, আমরাও চাই। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রতি ভরসা পাচ্ছি না। কিন্তু এই সময় ট্রাম্পের প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাত থামিয়ে গাজ়ায় শান্তি ফেরানোর উদ্দেশ্যে ২০ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁর প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি সমঝোতায় আগেই রাজি হয়েছিল আমেরিকার ‘বন্ধু’ ইজ়রায়েল। তবে হামাস প্রাথমিক ভাবে তাতে রাজি ছিল না। যদিও পরে ট্রাম্পের প্রস্তাবে রাজি হওয়ার আভাস দেয় প্যালেস্টাইনপন্থী এই সশস্ত্র গোষ্ঠী। হামাসের থেকে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়ার পরেই গাজ়া ভূখণ্ডে হামলা বন্ধ করার জন্য ইজ়রায়েলকে ‘নির্দেশ’ দেন ট্রাম্প।

হামাস এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে বন্দিমুক্তির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য মিশরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। ট্রাম্পের জামাই জারেড কুশনরও যাচ্ছেন উইটকফের সঙ্গে। রবিবারই সেখানে বন্দিবিনিয়ম নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.