দোষ করেও কোচের বকুনি খাওয়া থেকে বেঁচেছিলেন শুভমন, ভারতের টেস্ট অধিনায়কের ‘দুষ্টুমি’র কথা বন্ধু অভিষেকের মুখে

ছোটবেলা থেকে শুভমন গিল এবং অভিষেক শর্মা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। একসঙ্গে দীর্ঘ দিন ক্রিকেট খেলছেন। এশিয়া কাপে ওপেন করেছেন এই দু’জনই। সেই শুভমনের দুষ্টুমির কথা প্রকাশ্যে আনলেন অভিষেক। জানালেন, কী ভাবে ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলতে গিয়ে দোষ করেও পার পেয়ে গিয়েছিলেন শুভমন।

‘ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়ন্স’ অনুষ্ঠানে অভিষেক বলেছেন, “ছোটবেলায় শুভমন একমাত্র ছেলে ছিল যে দুষ্টুমি করেও কোনও দিন বকুনি খায়নি। একটা ঘটনার কথা বলি। আমরা অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট খেলতে ধরমশালায় গিয়েছিলাম। হিমাচল প্রদেশ, দিল্লি এবং পঞ্জাবের ছেলেরা একসঙ্গে ছিলাম। ধরমশালা স্টেডিয়াম থেকে ৫০০ মিটার দূরে আমাদের হোটেল ছিল। বাসে করে যেতাম। আমরা বার বার পঞ্জাবি গান চালাচ্ছিলাম এবং বাসচালক বার বার সেটা বন্ধ করে দিচ্ছিলেন। কিছুতেই গান চালাতে দিচ্ছিলেন না।”

অভিষেকের সংযোজন, “আমাদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। যার গলার সবচেয়ে জোরে ছিল সে হল শুভমন। ঘটনাটা কোচেদের কানে পৌঁছোয়। সব বাসচালক এসে একসঙ্গে বলেছিল, ‘আপনার দলের ছেলেরা খারাপ আচরণ করেছে’।”

অভিষেক জানিয়েছেন, কোচেরা চালকদের কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলেন কারা কারা তর্ক করেছিল। শেষ পর্যন্ত অভিষেক এবং প্রভসিমরন গিলের দিকেই সকলে আঙুল তোলেন। শুভমন শাস্তি পাননি। বাসচালকেরা আঙুল দিয়ে চিহ্নিত করেছিলেন অভিষেকদের। এর পরই চিঠিতে সই করিয়ে শিবির থেকে বাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় অভিষেকদের।

ভারতের ওপেনার বলেছেন, “এমনিতেই বাড়ি ফেরানো হচ্ছে ভেবে মনটা খারাপ ছিল। আরও দুঃখ পেয়েছিলাম শুভমন ধরা পড়ল না দেখে। যে সব শুরু করেছিল, যার জন্য আমরা শাস্তি পেয়েছি তারই কিছু হল না! মুহূর্তের মধ্যে মুখের ভাবভঙ্গি বদলে ফেলার প্রতিভা রয়েছে শুভমনের।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.