চলতি মাস থেকেই ভারত এবং চিনের মধ্যে সরসারি বিমান পরিষেবা শুরু হবে। বৃহস্পতিবার এ কথা ঘোষণা করল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে বন্ধ ছিল দু’দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা। দিন কয়েক আগে এসসিও (সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন) সম্মেলনের সময়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তার পরেই বরফ গলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। দু’দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২৬ অক্টোবর থেকে আবার ভারত এবং চিনের মধ্যে চালু হবে সরাসরি বিমান পরিষেবা।
বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরু থেকেই ভারত এবং চিনের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কর্তাদের মধ্যে প্রযুক্তিগত বিষয়ে কথাবার্তা চলছিল। নজরে ছিল দু’দেশের মধ্যে আবার সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু এবং সেই সংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত করা। এ বার নির্দিষ্ট কিছু বিমান সংস্থা সেই পরিষেবা চালু করবে।
বিদেশ মন্ত্রকের ঘোষণার পরেই ইন্ডিগো বিমান সংস্থা জানিয়েছে, ২৬ অক্টোবর থেকে কলকাতা এবং গুয়াংঝৌয়ের মধ্যে রোজ বিমান চলবে। ক্রমে দিল্লি এবং গুয়াংঝৌয়ের মধ্যেও এই সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হবে। ওই সংস্থা আরও জানিয়েছে, এই রুটে তারা এ-৩২০ বিমান চালাবে। তাদের আশা, সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার কারণে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। পর্যটনের প্রসার হবে।
২০২০ সালে গালওয়ানে ভারত এবং চিনা সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তার পরেই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হয়। তার পরে দুই দেশের সামরিক স্তরে দফায় দফায় আলোচনার পরে পরিস্থিতির ক্রমেই উন্নতি হয়েছে। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ বার দুই দেশের মধ্যে আবার সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হতে চলেছে।