শুক্রবার এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জিতেছে ভারত। সুপার ওভারে অর্শদীপ সিংহের আঁটসাঁট বোলিং জিতিয়েছে ভারতকে। ম্যাচের মধ্যে রান হজম করলেও কী ভাবে সুপার ওভারে এত নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেন তার রহস্য ফাঁস করেছেন অর্শদীপ।
বোর্ডের দেওয়া ভিডিয়োয় অর্শদীপের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জিতেশ শর্মা। পাশে ছিলেন রিঙ্কু সিংহও। সুপার ওভারে যে দু’টি উইকেট নিয়েছিলেন অর্শদীপ, তার দু’টি ক্যাচ রিঙ্কু এবং জিতেশই ধরেছিলেন।
জিতেশের প্রশ্নের উত্তরে অর্শদীপ বলেন, “আমরা পাওয়ার প্লে-তে মার খেয়েছিলাম। পরের দিকে সবাই ভাল বল করায় ম্যাচটা সুপার ওভারে গিয়েছিল। আমার পরিকল্পনা খুব স্বচ্ছ ছিল। ওয়াইড ইয়র্কার করতে চেয়েছিলাম যাতে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারেরা অফসাইডে খেলে।” অর্শদীপের পরিকল্পনা কাজে লাগে। কুশল পেরেরা এবং দাসুন শনকা দু’জনেই অফসাইডে খেলে আউট হয়েছেন।
চলতি এশিয়া কাপে মাত্র দু’টি ম্যাচ খেলেছেন অর্শদীপ। ফাইনালে আবার হয়তো বসতে হতে পারে তাঁকে। তবে নিজেকে সব সময় প্রস্তুত রাখতে চান তিনি। পঞ্জাবের বোলার বলেছেন, “আমি সব সময় নিজেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত রাখি। বিছানায় যাওয়ার আগে যাতে এটা মনে হয়, আমি নিজের ১০০ শতাংশ দিয়েছি। খেলতে না পারলে মাঠের বাইরে ১০০ শতাংশ দিতে হবে। যারা খেলছে তাদের সমর্থন করতে হবে। ভাল করে অনুশীলন করতে হবে। আমি এতেই বিশ্বাস করি।”
তিনি আরও বলেছেন, “যা-ই ঘটে যাক, বর্তমানে বাঁচতে হবে। সুযোগ এলে আমি রান আটকাব, বিপক্ষকে চাপে ফেলে উইকেট নেব। নতুন বল, পুরনো বল, প্রথম ইনিংস বা দ্বিতীয় ইনিংস যা-ই হোক না কেন, আমাকে মানিয়ে নিতেই হবে। অতীতে ভুবি (ভুবনেশ্বর কুমার) ভাই, শামি ভাই, বুমরাহ ভাই বা হার্দিক ভাই খুব সাহায্য করেছে।”
তার আগেই অবশ্য রিঙ্কুকে অর্শদীপ প্রশ্ন করেন, “ক্যাচ নিয়ে কেমন লাগছে?” রিঙ্কুর উত্তর, “তোমার বলে যখন আমার কাছে ক্যাচ আসে তখন দারুণ লাগে। তোমার বলে ক্যাচ কখনও ছাড়িনি।” পাশ থেকে জিতেশ বলেন, “তুমি তো ভয় পাও যে মাঠ থেকে ঘরে ফেরার পর তোমার সঙ্গে কিছু একটা ঘটবে।” রিঙ্কু সঙ্গে সঙ্গে বলেন, “অবশ্যই। প্রচুর বকুনি খেতে পারি। তাই ওর ক্যাচ ধরতেই হবে।”