এশিয়ার কাপে ফাইনালে ভারত। পরপর দুটি ম্যাচে জেতালেন অভিষেক শর্মা। ৪১ রানে হারল বাংলাদেশ। শুক্রবার পাকিস্তানের শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সূর্যকুমাররা যখন নিয়মরক্ষার ম্যাচে নামবেন, তখন বৃহস্পতিবার পাকিস্তান-বাংলাদেশ কার্যত সেমিফাইনাল হয়ে গেল।
চোটের কারণে দল ছিলেন লিটন দাস। এদিন টসে জিতে ভারতকেই প্রথম ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক। শুরু থেকে মারমুখী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং শুভমান গিল। রান তুলছিলেন ঝড়ের গতিতে! ওপেনিং পার্টনারশিপে ওঠে ৭৭ রান। ১৯ বলে ২৯ রানে রিশাদ হোসেনের বলে আউট হন গিল। এরপর ক্রিজে আসেন শিবম দুবেকে। কিন্তু তিন নম্বরে নেমে ব্যর্থ হন তিনি। মাত্র ২ রানে করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে।
এদিকে সেঞ্চুরি মিস করেন অভিষেকও। ৭৫ রানের মাথায় রান আউট হয়ে যান। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৬টি চার, ৫টি ছক্কা দিয়ে। অভিষেক ফিরতেই যথারীতি ভারতের রানের গতি কমে। লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে ৭৭ থেকে পরের ৩৭ রানে ৪ উইকেট চলে যায় ভারতের। শেষপর্যন্ত হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং অক্ষর প্যাটেলের ব্যাটে ভর করে ১৬৮ রান তোলে ভারত।
টার্গেট ১৬৯। ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ন তানজিদ হাসানকে ফেরান বুমরাহ। তবে ইফ হাসান এবং পারভেজ হোসেন ইমন জুটি হাত ধরে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরছিলেন টাইগার। পাওয়ার প্লেতে ওঠে ৪৪ রান। । সইফ-ইমনের ৪২ রানের জুটি ভাঙেন কুলদীপ। এরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ ব্যাটিং লাইন আপ।
ভারতের দেওয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। জশপ্রীত বুমরাহ ফেরান তানজিদ হাসানকে (১)। প্রথম দিকে বুমরাহকে সামলাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল বাংলাদেশি ব্যাটারদের। তবে বাংলাদেশকে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন সইফ হাসান এবং পারভেজ হোসেন ইমন। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ তোলে ৪৪ রান। তখনও ৩ বল বাকি। ১২৭ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।