কলকাতা লিগে চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল, তিন দিনে দু’বার লিগ চ্যাম্পিয়ন হল লাল-হলুদ!

আবার কলকাতা লিগ জিতল ইস্টবেঙ্গল। সোমবার নিজেদের মাঠে চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ডের শেষ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ২-১ গোলে হারিয়ে দিল ইউনাইটেড স্পোর্টসকে। গত বার লিগ জেতার পর এ বার সেটা ধরে রাখল ইস্টবেঙ্গল। সব মিলিয়ে ৪১তম লিগ খেতাব জিতল তারা। এ দিন লিগ জেতার জন্য ড্র করলেই চলত ইস্টবেঙ্গলের। তবে তিন পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত থেকেই লিগ জিতল তারা।

এ দিন ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই আইএফএ-র তরফে গত বারের কলকাতা লিগের ট্রফি তুলে দেওয়া হয় ইস্টবেঙ্গলের হাতে। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ট্রফি তুলে দেন। কলকাতা হাই কোর্ট শুক্রবারই জানিয়েছিল, গত বারের লিগ চ্যাম্পিয়ন হিসাবে ইস্টবেঙ্গলের নাম ঘোষণা করতে বাধা নেই। শনিবার আইএফএ-র লিগ কমিটির বৈঠকের পর ইস্টবেঙ্গলকে আনুষ্ঠানিক ভাবে গত বারের লিগের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে দেওয়া হয়। শনিবারের পর সোমবার, অর্থাৎ তিন দিনের ব্যবধানে দু’বার কলকাতা লিগ জিতল ইস্টবেঙ্গল।

ইস্টবেঙ্গলকে এ দিন ড্র করলেই চলত। তবে ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ড্র করার চিন্তা মাথায় নিয়ে নামেইনি ইস্টবেঙ্গল। শুরু থেকেই ভাল খেলতে থাকে। আগ্রাসী খেলতে থাকেন লাল-হলুদ ফুটবলারেরা। গোল পেতে অবশ্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ডেভিড লালানসাঙ্গা প্রথমার্ধে এগিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলকে। তার মাঝে একের পর এক সুযোগ নষ্ট করেছেন ইস্টবেঙ্গলের ডেভিড, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়েরা। ইউনাইটেডের গোলকিপার অঙ্কন ভাল কিছু সেভ করেন।

লিগ জয়ের পর ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মশাল জ্বালিয়ে উচ্ছ্বাস।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করার মরিয়া চেষ্টা করতে থাকে ইউনাইটেড। তাদের খেলায় বাড়তি উদ্যমও দেখা যায়। উল্টো দিকে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের মনে হচ্ছিল তারা যেন একটু আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েছে। লাল-হলুদের খেলার মধ্যে সেই ঝাঁজও দেখা যাচ্ছিল না। নির্ধারিত সময়ের শেষের দিকে গোল শোধও করে দেয় ইউনাইটেড। ৮৮ মিনিটে গোল করে তারা।

গোল হজম করেই যেন আত্মসম্মানে ধাক্কা লাগে ইস্টবেঙ্গলের। পরের মিনিটেই আবার এগিয়ে যায় তারা। গোল করেন শ্যামল বেসরা। সেই গোল আর শোধ করতে পারেনি ইউনাইটেড।

রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর পরেই মাঠে ঢুকে পড়েন রিজ়‌ার্ভ বেঞ্চে থাকা কোচ এবং ফুটবলারেরা। গ্যালারির দিকে জ্বলে ওঠে মশাল। তিন দিনের ব্যবধানে দু’বার লিগ জেতার উৎসবে মাতে লাল-হলুদ জনতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.