এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে দু’বার হারিয়েছে ভারত। রবিবার সুপার ফোরে ৬ উইকেটে জিতেছেন সূর্যকুমার যাদবেরা। টানা দু’টি ম্যাচ জিতে ফুরফুরে রয়েছে ভারতীয় শিবির। সাজঘরের সেই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। জয়ের পর সাজঘরে ‘রাম রাম’ ধ্বনিও শোনা গিয়েছে। ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’-এর পদক নিতে গিয়ে সাপোর্ট স্টাফের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে যান তিলক বর্মা। তা দেখে হেসে গড়িয়ে পড়েন বাকিরা।
সোমবার সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে বিসিসিআই। সেখানে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ হিসাবে নির্বাচিত করা হয় তিলককে। ম্যাচের সেরার পুরস্কার না পেলেও ভারতের যে ক্রিকেটার উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। রবিবার সেটা পান তিলক।
পদক দেওয়ার আগে গুরুগম্ভীর ভাষণ দেন দলের থ্রোডাউন বিশেষজ্ঞ রাঘবেন্দ্র দিবজি ওরফে রঘু। তিনি বলেন, “সকলকে জানাই, রাম রাম। প্রতিভা ঈশ্বরের দেওয়া, নম্র থাকো। খ্যাতি মানুষের দেওয়া, কৃতজ্ঞ থাকো। মনঃসংযোগ নিজের তৈরি করা, খুব সাবধানে থাকো। অনুপ্রেরণা সাময়িক, শৃঙ্খলা চিরস্থায়ী। এই ম্যাচে কেউ নিখুঁত খেলেনি। সকলকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। খ্যাতি ঈশ্বরের কাছে পৌঁছয়, ঈশ্বর মহান। সাফল্য কখনও শেষ হয় না। ব্যর্থতা কখনও চূড়ান্ত হয় না।”
রঘুর কথা মুগ্ধ হয়ে শোনে ভারতীয় দল। শেষ হতেই প্রত্যেকে হাততালি দেন। এর পর তিলককে ডেকে নেন রঘু। তিলক এসেই নিচু হয়ে রঘুকে প্রণাম করতে যান। রঘু করতে দেননি। তবে তিলকের কাণ্ড দেখে হেসে গড়িয়ে পড়েন বাকি ক্রিকেটারেরা।
পদক পেয়ে তিলক বলেন, “গত দুটো ম্যাচই শেষ করে আসার কথা ভেবেছিলাম। পারিনি। আজ সুযোগ এসেছিল এবং দলের জন্য নিজের কাজটা করতে পেরেছি। প্রতিযোগিতার শেষ পর্যন্ত এই মানসিকতাই ধরে রাখার চেষ্টা করব। গৌতি স্যর বলেছেন, বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমাদের শিখতে হবে রোজ। সেই চেষ্টাই করব।”