রবিবার খড়্গপুর আইআইটি-র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষক ছাত্র হর্ষকুমার পাণ্ডে (২৭)-র দেহের ময়নাতদন্ত হল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ছেলের মৃত্যু নিয়ে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই বলে জানালেন মৃত পড়ুয়ার বাবা।
শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ বিআর অম্বেডকর হল থেকে উদ্ধার হয় হর্ষের ঝুলন্ত দেহ। পরে তাঁকে বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের লোকেরা আসার পরেই দেহ পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতহাল হয় প্রথমে। তার পর ময়নাতদন্ত। ভিডিয়োগ্রাফিও করা হয়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়। তদন্ত শুরু হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
হাসপাতালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন আইআইটি খড়গপুরের আধিকারিক গুনানন্দ ঝা। মৃত পড়ুয়ার বাবা, রাঁচীর রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগে কর্মরত মনোজকুমার পাণ্ডে বলেন, ‘‘কোনও অভিযোগ নেই আমার। সুইসাইড কেস হয়েছে আইআইটিতে। গলায় দাগ দেখে সুইসাইড বলে মনে হচ্ছে। ওখানের সিসি ফুটেজে দেখেছি, সন্ধ্যা ৬.৪৫-এ হস্টেলে ঢুকতে দেখা গিয়েছে ছেলেকে। এই ঘটনা সাড়ে ৭টা নাগাদ হতে পারে। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ফোন করেছি। তাতে ও ফোন তোলেনি। শনিবারও আমরা ফোন করি। তখনও তোলেনি। ওয়ার্ডেনের সঙ্গে যোগযোগ করি আমরা। দু’-তিন ঘণ্টা পর আমাদের খবর দেওয়া হয়।’’
আইআইটি ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘‘খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। আত্মহত্যার প্রবণতা রুখতে একাধিক বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করা হয়েছে।’’