মৃত্যুর আগে কাদের সঙ্গে ছিলেন অনামিকা? কী ভাবে পড়ে গেলেন পুকুরে? নজরে সিসিটিভি ফুটেজ, মিলিয়ে দেখা হচ্ছে বয়ানও

১১ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের এক পুকুরে পড়ে মৃত্যু হয় বেলঘরিয়ার নিমতার বাসিন্দা অনামিকা মণ্ডলের। কিন্তু ঘটনার আগে কাদের সঙ্গে ছিলেন তিনি? কী ভাবে পকুরে পড়ে গেলেন? সেই রহস্যভেদ করতে গোয়েন্দাদের নজরে ক্যাম্পাসের সিসিটিভি ফুটেজ। শুধু তা-ই নয়, ঘটনার পর নথিভুক্ত করা বয়ানও খতিয়ে দেখছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।

দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যা নয়, অনামিকাকে পুকুরে ঠেলে ফেলে দিয়ে খুন করা হয়েছে, এমন অভিযোগই তুলেছেন তাঁর বাবা। এই মর্মে অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ এবং হোমিসাইড। অনামিকার মৃত্যুর পরই পুলিশ অস্বাভাবিক মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েক জনকে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ছ’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রামা ক্লাবের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনামিকা। রাত ১০টা ২০ নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের অদূরে এক পুকুর থেকে সেই অনামিকার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই নানা প্রশ্ন উঠছে। কী ভাবে পুকুরে পড়ে গেলেন অনামিকা? যখন ঘটনা ঘটল তখন কি কেউ তাঁর সঙ্গে ছিলেন না? একা একা পুকুরপাড়ে কী করছিলেন অনামিকা? এটা আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা? না কি কেউ বা কারা তাঁকে ঠেলে ফেলে দিয়েছেন?

অনামিকার বাবার দাবি, তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করতেই পারেন না। তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। না হলে ওই সময় তাঁর একা একা পুকুরের দিকে যাওয়ার কথাই নয়। অভিযোগপত্রেও তিনি একই দাবি করেছেন। এই সব দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মঙ্গলবার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন হোমিসাইডের আধিকারিকেরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের থেকে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, ঘটনার আগের অন্য জায়গার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করে দেখা হবে। ক্যাম্পাসের ৪ নম্বর গেটের সামনে মোট তিনটি ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে কোন‌ও ক্যামেরা না থাকায় ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ মেলেনি। ফলে ঘটনার রহস্যভেদ করতে অন্যান্য দিকও নজরে রাখছেন গোয়েন্দারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.