বাংলাদেশে সরকারি সভা চলাকালীন ভেসে উঠল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ছবি। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রাক্তন নেতারা এ ঘটনার নিন্দা জানাতে শুরু করেছেন। বিতর্কের মাঝে মুখ খুলল ইউনূস প্রশাসনও। এ ধরনের ঘটনা ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে মন্তব্য করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
রবিবার রংপুরে বাংলাদেশের মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের এক বিভাগীয় পর্যালোচনা বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারও। ওই পর্যালোচনা বৈঠকের ভার্চুয়াল প্রেজ়েন্টেশন চলাকালীনই এই ‘বিপত্তি’ ঘটে। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, পশুপালন এবং দুগ্ধ উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে একটি ভার্চুয়াল প্রেজ়েন্টেশন দিচ্ছিলেন ওই প্রকল্পের ডিরেক্টর গোলাম রব্বানি। সেই সময়েই মনিটরের স্ক্রিনে দেখা যায় কক্ষের একটি দেওয়ালে রয়েছে মুজিবর এবং হাসিনার ছবি। তা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত।
সরকারি সভা চলাকালীন এমন ঘটনায় অসন্তুষ্ট মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফরিদাও। তিনি বলেছেন, “এটি গ্রহণযোগ্য নয়, ফ্যাসিবাদের অনেক রূপ আমরা লক্ষ করছি। তার প্রতিফলন নানা ভাবে ঘটে।” রবিবারের ওই বৈঠকে উপস্থিত প্রাণিসম্পদ দফতরের রংপুরের ডিরেক্টর মোহাম্মদ আবদুল হাই সরকারের দাবি, প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক ইচ্ছাকৃত ভাবে এটি করেননি। এটি পাঁচ বছর আগের একটি প্রকল্প। তাই কোনও কারণে অসাবধানতাবশন এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি তাঁর। ওই আধিকারিক এর জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন বলে জানান তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ দফতরের উপদেষ্টাও জানান, ঘটনাটি ভুলবশত হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের ডিরেক্টর। এর জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন, তা-ও জানান উপদেষ্টা। তবে একই সঙ্গে তিনি বলেন, “ব্যাপারটা আমাকে আর একটু ভাল করে জানতে হবে। আমি অবশ্যই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।”