গত ২৮ মাস ধরে গোষ্ঠীহিংসায় দীর্ণ মণিপুরে গিয়ে শান্তির বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানকার সব ক’টি সংগঠনকে শান্তির পথে আসার অনুরোধ জানালেন। এ-ও জানালেন যে, সরকার মণিপুরের পাশে রয়েছে।
গত ২৮ মাসে মণিপুরে যাননি প্রধানমন্ত্রী। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী দলগুলি। শনিবার দুপুরে মিজ়োরাম থেকে বিমানে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে পৌঁছোন তিনি। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে কুকি-জ়ো অধ্যুষিত চুরাচান্দপুর জেলায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সড়কপথে সেখানে পৌঁছোন তিনি।
চুরাচান্দপুর শহরে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। ৭০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। জানান, মণিপুরে সড়ক এবং রেল যোগাযোগ আরও উন্নত করতে পদক্ষেপ করছে সরকার। ওই সভা থেকেই শান্তির ডাক দেন মোদী। তিনি বলেন, “আমি সব সংগঠনের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে শান্তির পথে আসুন। মণিপুরের উন্নতির জন্য ভারত সরকার কাজ করে চলেছে।”
চুরাচান্দপুরে পৌঁছেই গোষ্ঠীহিংসায় ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৩ মে এই জেলা থেকেই অশান্তির আগুন ছড়়িয়ে পড়েছিল মণিপুরে। তফসিলি জনজাতির তকমা দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছিল মেইতেইরা। তার প্রতিবাদে পথে নামে একটি আদিবাসী গোষ্ঠী। সেখান থেকেই হিংসা ছড়ায় কুকি-জ়ো অধ্যুষিত চুরাচান্দপুরে। সেই জেলায় গিয়ে ঘরছাড়াদের সঙ্গে মোদীর দেখা করাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। চুরাচান্দপুর থেকে মেইতেই অধ্যুষিত ইম্ফল উপত্যকায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেও ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।