সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে পরিচয়পত্র হিসাবে আধার কার্ড গ্রহণ করতে বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-কে বলল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার সেই মর্মে বিহারের সিইও-কে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে তারা। তাতে জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর)-র ক্ষেত্রে দ্বাদশতম নথি হিসাবে গণ্য করতে হবে আধারকে। তবে আধারকে পরিচয়পত্র হিসাবে ধরা হলেও নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে ধরা যাবে না।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষায় ব্যক্তি পরিচয়ের প্রামাণ্য নথি হিসাবে আধার কার্ড ব্যবহার করা যাবে। ভোটার তালিকার নথিতে আধার কার্ডকে জুড়তে বলে শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা সংক্রান্ত মামলায় এর আগে জানিয়েছিল, ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য অন্য নথির সঙ্গে আধার কার্ডও পরিচয়পত্র হিসাবে গণ্য করা হতে পারে। তবে এত দিন এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিষয়টি স্পষ্ট করে দেয় শীর্ষ আদালত। নির্বাচন কমিশনকে সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘‘পরিচয়পত্রে প্রামাণ্য নথি হিসাবে আধার কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন ভোটারেরা। আধারকে প্রামাণ্য নথি হিসাবে যুক্ত করতে হবে।’’
ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য পরিচয় প্রমাণের তালিকায় আধারকে ১২তম নথি হিসাবে গণ্য করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এত দিন প্রামাণ্য নথি হিসাবে ১১টি নথির কথা উল্লেখ করেছিল নির্বাচন কমিশন। ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের অধীনে আধার সংযুক্তিকরণের কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট।
বিহারে খসড়া ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ যাওয়া নিয়ে মামলা শোনে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট এর আগে জানায়, ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নাম বাদ যাওয়া নিয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন ভোটারেরা। তালিকায় নাম বাদ পড়া নিয়ে অভিযোগ জানানোর সময়সীমা বৃদ্ধি করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল বিহারের বিরোধী দলগুলি। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বিহারের কোনও ভোটার যদি খসড়া ভোটার তালিকায় নাম বাদ পড়া নিয়ে অভিযোগ বা আপত্তি জমা করেন, তা হলে তা শোনা হবে। সোমবার তারা জানায়, আধারকেও ভোটার তালিকার নথি হিসাবে গণ্য করা হবে। সেই মতো বিহারের সিইও-কে নির্দেশ দিল কমিশন।