গাজ়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য বুধবার নতুন সমঝোতা-শর্ত দিয়েছিল প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ঘোষণা করেছিল, গাজ়ায় সমস্ত ইজ়রায়েলি পণবন্দিকে ধাপে ধাপে মুক্তি দেবে তারা। বিনিময়ে সমঝোতার ভিত্তিতে ইজ়রায়েলের জেল থেকে নির্দিষ্টসংখ্যক প্যালেস্টাইনি বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে।
ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার বৃহস্পতিবার সরাসরি হামাসের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে। পরিবর্তে গাজ়ায় হামলা বন্ধ করার জন্য পাঁচটি শর্ত দিয়েছে তারা। কী সেই শর্ত? নেতানিয়াহুর দফতর জানিয়েছে, এক সঙ্গে সব পণবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে, হামাসকে অস্ত্রসমর্পণ করতে হবে, গোটা গাজ়া ভূখণ্ডকে অস্ত্রমুক্ত করতে হবে, গাজ়ার নিরাপত্তার দায়িত্ব ইজ়রায়েলি বাহিনীর হাতে দিতে হবে এবং এমন একটি বিকল্প অসামরিক প্রশাসনের হাতে গাজ়ার শাসনভার তুলে দিতে হবে, যারা ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়াবে না।
কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল ইজ়রায়েল সরকার এবং হামাস। ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরও হয়েছিল। কিন্তু পণবন্দিদের মুক্তি ঘিরে টানাপড়েনের জেরে মার্চের গোড়ায় একতরফা ভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজ়ায় আবার হামলা শুরু করে ইজ়রায়েলি সেনা। ট্রাম্পের উদ্যোগে অগস্টে নতুন করে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু তেল আভিভ এক সঙ্গে সমস্ত পণবন্দির মুক্তির দাবিতে অনড় থাকায় এখনও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। বুধবার ওয়াশিংটন জানিয়েছিল, সমস্ত পণবন্দির মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবে তাদের সায় রয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার ই়জ়রায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজ়রায়েল কাৎজ় বলেন, ‘‘আমাদের শর্তগুলি মেনে নেওয়া ছাড়া গাজ়ায় সংঘর্ষবিরতির কোনও বিকল্প পথ খোলা নেই।’’